বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ
কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির বিরুদ্ধে
সুনির্দিষ্ট অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তা তদন্তে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের
আরজি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন ৪২ নাগরিক।
গত ডিসেম্বর মাসে একবার চিঠি পাঠানোর পর জানুয়ারিতে
‘তথ্য প্রমাণ’ দিয়ে আরেকটি চিঠি পাঠান তারা রাষ্ট্রপতির কাছে।
প্রথম চিঠি পাঠানোর প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন
কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছিলেন, “ইসিকে দায়ী করে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা অনভিপ্রেত
ও আদৌ গ্রহণযোগ্য নেয়।”
ইসির ‘গুরুতর অসদাচরণ’, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি ৪২ নাগরিকের
বিশিষ্টজনদের অভিযোগ ভিত্তিহীন: ইসি শাহাদাত
ইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে ফের চিঠি, এবার তথ্য দিয়ে
দ্বিতীয় চিঠি পাঠানোর পর কবিতা খানম বললেন,
“আমাদেরকে নয়, প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করতে কেউ কেউ বিভিন্ন অভিযোগ করছেন।
“আমাদের পূর্বের চাকুরিতে যেভাবে স্বচ্ছ ছিলাম,
এখনও সেইভাবেই আমরা স্বচ্ছ আছি। সারা জীবন স্বচ্ছ থেকেছি, এখানে দায়িত্ব নিয়ে নিশ্চয়
নিজেদের বিতর্কিত করব না।”
পৌর নির্বাচনের আরও দুই ধাপের ভোট রয়েছে সামনে।
অনিয়ম ও সংহিংসতা রোধে ইসির তৎপরতার বিষয়েও তুলে ধরেন এ নির্বাচন কমিশনার।
“নির্বাচনের পরিস্থিতি যাতে ব্যাহত না হয়
তার সব ধরনের পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। প্রার্থীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তাহলে
নির্বাচনের পরিবেশটা ভালো থাকবে।”
ভোটে সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, “কিছু কিছু
সহিংসতা হচ্ছে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট আছে। তবে আগের তুলনায় সহিংসতা অনেকটা
কম।”
ভোটে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রতিটি
অভিযোগ তদন্ত করা হয় বলে দাবি করেন কবিতা খানম।
তিনি বলেন, “যে ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের কাছে
প্রতীয়মান হয়, সেখানে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।… কিছু কিছু বিষয় থাকে
ইসির এখতিয়ারের বাহিরে, সেগুলো সম্পর্কে আমরা পরামর্শ দিয়েছি। পৌরসভা নির্বাচনে যে
ঘটনা ঘটেছে সে কেন্দ্রগুলোতে ভোট স্থগিত করেছি।”
১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপের ও ২৮ ফেব্রুয়ারি
পঞ্চম ধাপের ভোট রয়েছে।