বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, “এই প্রতিবেদন দেশের অব্যাহত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াস।
“এটা কাঙ্ক্ষিত যে, গণমাধ্যম সমাজ ও রাষ্ট্রের অসঙ্গতি নিয়ে সংবাদ প্রচার করবে। কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নামে আল জাজিরা যা প্রচার করেছে, তা সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থি। সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠ, ভারসাম্যপূর্ণ ও যথাযথ প্রমাণভিত্তিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু আল জাজিরার প্রচারিত তথ্যচিত্রে কিছু ব্যক্তির বক্তব্য প্রমাণ ব্যতিরেকে মিউজিক ও স্পেশাল এফেক্ট ব্যবহার করে উপস্থাপন করা হয়েছে; যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ বিষয়ক সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতার তোয়াক্কা না করা আল জাজিরার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অনেক দিন ধরেই আল জাজিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছে।
“এ প্রসঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে আল জাজিরার ভূমিকা এবং ৫ মে ২০১৩ হেফাজতের সমাবেশে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি স্মরণযোগ্য।”
বিবৃতিতে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।