বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মো. আজম এবং তার মা ফরিদা বেগম ও বোন কামরুন নাহার। ঘটনার সময় ২০০৯ সালে ২১ বছরের যুবক ছিলেন আজম, ফরিদার বয়স ছিল ৫৫ এবং কামরুন
নাহারের বয়স ছিল ২৫ বছর।
এ মামলার অপর আসামি আজমের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আজম পলাতক। তার মা ও বোন আগে আদালতে হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার সময় অনুপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত পিপি লোকমান জানান,
আসামিরা ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে তাদের প্রতিবেশী প্রবাসী আব্দুস সালামকে গলাকেটে হত্যা করেন। এ ঘটনায় সালামের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে আজম, তারা বাবা আব্দুর রাজ্জাক, মা ফরিদা বেগম ও বোন কামরুন নাহারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত করে ২০১০ সালের ৯ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে। মামলার ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
ঘটনার বিবরণে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী
লোকমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের
সাত দিন আগে আব্দুস সালাম দেশে ফেরেন। ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর সকালে সালাম তার বাড়ির সামনে ভেঙে যাওয়া গোয়ালঘর ঠিক করছিলেন। এ সময় আজম, তার বাবা-মা ও
বোন বাধা দেন।
দুপুরে সালাম স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভাত খাওয়ার সময় আসামিরা তার ঘরে ঢোকে। সালামকে মাটিতে ফেলে রাজ্জাক মাথা চেপে ধরেন, ফরিদা ও কামরুন নাহার তার হাত-পা চেপে ধরেন, আর আজম ছুরি দিয়ে কণ্ঠনালীতে আঘাত করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর পর আজম ও তার বাবা রাজ্জাক পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা ফরিদা ও কামরুন নাহারকে আটক করে পুলিশে দেয়।