ক্যাটাগরি

প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের প্রস্তাব বিবেচনার সুযোগ নেই: অধিদপ্তর

ভুয়া
ওয়েবসাইট খুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য তথ্য আহ্বান করে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়ানো
হচ্ছে জানিয়ে তাতে প্ররোচিত না হতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে
বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে অধিদপ্তরের বলেছে, “একটি অসাধু চক্র প্রধানমন্ত্রী
ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ছবি ব্যবহার করে bprimaryschool.org নামে
একটি নকল ওয়েবসাইট খুলে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের জন্য তথ্য আহ্বান করেছে।

“এই ওয়েবসাইটের
সাথে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো সম্পর্ক
নেই। ইতোমধ্যে ও ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে ঢাকার মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে
অনুরোধ করা হয়েছে।”

অধিদপ্তর
বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে।

“সার্বজনীন
ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোনো এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রয়োজন
হলে সরকার নিজ উদ্যোগে তা স্থাপনসহ শিক্ষক নিয়োগ করবে। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
জাতীয়করণের আর কোনো প্রস্তাব বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই “

বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, “বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, কোনো কোনো স্বার্থান্বেসী মহল প্রাথমিক বিদ্যালয়
জাতীয়করণ করা হবে মর্মে প্রচারণা চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং কোনো কোনো
ক্ষেত্রে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনভিপ্রেত। এ ধরনের ওয়েবসাইট খোলা
তারই বহিঃপ্রকাশ।”

এ ধরনের
বিভ্রান্তিকর প্রচারে প্ররোচিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করেছে প্রাথমিক
শিক্ষা অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার
বিকেলে ওই ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায় সেখানো কারো ছবি না থাকলেও কিছু তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে
একটি নোটিস ঝুলেছে।

ওই নোটিসে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতগুলো বেসরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন সেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

কতটি
প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়কণের বাইরে রয়েছে তা নিয়ে একেক জায়গায় একেক রকম হিসেব থাকার
কথা তুলে ধরে ওই নোটিসে বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে কতটি বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণের
বাইরে রয়েছে, সে তথ্য নির্ণয় করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।