বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য একথা বলেন।
নজরুল বলেন, “আজকে দেশে নির্বাচনের নামে যে খেলা চলছে, যে প্রহসন চলছে, যে নোংরামী চলছে, তার ফলে এদেশে যেসব প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত গৌরবান্বিত হওয়ার কথা সেরকম কোনো প্রতিষ্ঠানই আজ আর গৌরবান্বিত নয়।
“জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত কোনোটাই প্রকৃত জনপ্রতিনিধিশীল প্রতিষ্ঠান নয়। কারণ নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে সেই নির্বাচনী প্রতিষ্ঠান মর্যাদাশীল হয় না, গ্রহণযোগ্য হয় না।”
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন
ওঠার কথা জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, “মার্কিন সিনেট, মার্কিন কংগ্রেস, ব্রিটিশ কমন্স সভা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্নালিস্ট উইথআউট বর্ডার- এরকম সমস্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযোগ জানিয়ে আসছেন।
“অতি সম্প্রতি চট্টগ্রামের নির্বাচনের পরে পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা মার্কিন কংগ্রেসের যে হিউম্যান রাইটস বা ডেমোক্রেসির ব্যাপারে যে কমিটি আছে, সেই কমিটিতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের আসলে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না। এরফলে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে গেলে এটা আলটিমেটলি সারা দুনিয়ার জন্য সঙ্কটের সৃষ্টি করবে।”
সিইসির এক বক্তব্য ধরে নজরুল বলেন “আমরা যখন বলি, সেটা হয় সমালোচনা। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলছেন, ইভিএমটা ঠিকমতো চালু করতে হবে, তাহলে দিনের ভোট আর রাতে হবে না।
“তার মানে তারা (নির্বাচন কমিশন) স্বীকার করে নিচ্ছে যে, দিনের ভোট রাতে হয়ে গেছে।”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার উপর জোর দেন তিনি।
নজরুল বলেন, “গণতান্ত্রিক স্বাভাবিক পথ যখন রুদ্ধ্ করা হয়, যখন গণতান্ত্রিক শক্তি দুর্বল হয়ে যায়, তখন অগণতান্ত্রিক শক্তি অবস্থান নেয়।
আমাদের পছন্দনীয় না হলেও সেরকম কিছু ঘটে যায়।”
তাই গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলকে আরও সুসংগঠিত করে আন্দোলন জোরদারের আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোট শরিক বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানের স্মরণে এই আলোচনা সভা হয়।
মুসলিম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির
(কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াত ইসলামীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, কল্যাণ পার্টির মাহমুদ খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, মুসলিম লীগের কাজী আবুল খায়ের, আতিকুল ইসলাম, আজিজুর রহমান লিটন, সারওয়ার-ই-আলম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ি, মো. শহীদুল্লা্হ ফকির বক্তব্য রাখেন।