বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার আদালতে রায় ঘোষণার পর ঢাকয় নয়া পল্টনে
দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাতক্ষীরার আদালতের রায়ে সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক
বিএনপির সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রিজভী বলেন, “এই মিথ্যা মামলাটি নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ
গ্রহণের খেলায় মেতেছে, তার প্রমাণ ঢাকা থেকে একজন এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিনজন
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছিল মামলাটিকে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে
আসার জন্য, যা নজিরবিহীন।
“তার মানে কী? সরকার যেটি চায়, সরকার প্রধান যেটি চান, যেভাবে
সাজা দিতে চান, সেই সাজাটা যাতে নিশ্চিত হয় এজন্য একজন অ্যাডিশনাল এবং তিনজন ডেপুটি
অ্যাটর্নি জেনারেল সেখানে পাঠানো হয়েছিল এবং দিনের পর দিন, মাসের পর মাস তারা সেখানে
অবস্থান করেছেন। তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, এই মামলায় শেখ হাসিনার ইচ্ছাই পূরণ
হবে এবং সেটা হয়েছেও।”
‘প্রতিহিংসা পূরণ করতে’ হাবিবসহ বিএনপির নেতাদের সাজা দেওয়া
হয়েছে দাবি করে রিজভী তাদের মুক্তির দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ষড়যন্ত্রমূলক
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত মামলায় দীর্ঘ পাঁচ বছর কারাগারে বন্দি আ্ছেন। প্রায় শতাধিক
মামলায় জামিন হয়ে জেলখানা থেকে বের হওয়ার সময় শাহবাগ থানা মিথ্যা মামলায় জামিন হওয়ার
পরেও গতকাল কোতোয়ালি থানার মামলায় এরেস্ট দেখায়।
“এটা হচ্ছে সরকারের একটা কালচার। একজনকে ধরে রাখব, সেখানে
ন্যায় বিচারের দরকার নাই। শেখ হাসিনা যতদিন চান বিএনপি নেতা-কর্মীদের ততদিন কারাগারে
আটকে থাকবেন।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের
সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম
উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, কাজী আবুল বাশার উপস্থিত
ছিলেন।