বুধবার অপসারণের ব্যাপারটি রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন পার্লারের সাবেক প্রধান নির্বাহী মাটজি। তাকে কোনো সমঝোতার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পার্লার কর্মীদের উদ্দেশ্যে পাঠানো এক নোটিশে মাটজি লিখেছেন, “জানুয়ারির ২৯ তারিখে রেবেকা মার্সার নিয়ন্ত্রিত পার্লার বোর্ড আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। আমি ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেইনি।”
“গত কয়েক মাস ধরে, আমি আমার সেবার লক্ষ্য নিয়ে, মুক্ত বক্তব্যের স্বাধীনতা নিয়ে এবং পার্লারের কীভাবে চলা উচিত তা নিয়ে ক্রমাগত বাঁধার সম্মুখীন হয়েছি।” – যোগ করেছেন মাটজি।
মাটজি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পার্লারের বর্তমানে ‘নির্বাহী একটি কমিটি’ রয়েছে। কমিটিতে ম্যাথিউ রিচার্ডসন ও মার্ক মেকেলার রয়েছেন। মার্সার, মেকেলার, রিচার্ডসন এবং পার্লার মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
উল্লেখ্য, মার্সার যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির একজন দাতা। পার্লার সামাজিক মাধ্যমটির প্রায় পুরোটা জুড়েই রয়েছেন মার্কিন রক্ষণশীলরা।
মূলধারার সামাজিক মাধ্যমের বিকল্প “বাকস্বাধীনতা সমর্থক” প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০১৮ সালে পার্লার প্রতিষ্ঠা করেন জন মাটজি। নিজেকে ‘লিবার্টেরিয়ান’ বলেই দাবি করেন তিনি। রয়টার্স পৃথক আরেক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, ডান ঘেঁষা অনেক ব্যবহারকারী পাড়ি জমিয়েছে প্ল্যাটফর্মটিতে, গত কয়েক বছরে ট্রাম্প সমর্থকদের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে অ্যাপটি।
ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করার সময়টিতে ট্রাম্প সমর্থকরা সেবাটি ব্যবহার করেছিলেন। ওই ঘটনার দিকে নির্দেশ করে অ্যাপল সেবাটিকে ২৪ ঘণ্টার কনটেন্ট মডারেশন সময় বেঁধে দিয়েছিল। এ ছাড়াও সহিংসতায় উস্কানিমূলক কনটেন্টের বেলায় পার্লার কী করবে, সে ব্যাপারে লিখিত পরিকল্পনা জমা দিতে বলেছে সেবাটিকে। আর গুগল সরাসরি প্লে স্টোর থেকেই সরিয়ে দিয়েছিল পার্লারকে।
পরে পার্লার ছিটকে পড়ে অনলাইন থেকেই। সেবাটির ওয়েব হোস্টিং বাতিল করে দিয়েছিল অ্যামাজন ক্লাউড সার্ভিসেস।
এর কয়েকদিন পরে পার্লারের ওয়েবসাইটকে ফের অনলাইনে দেখা যায়। সেখানে সেবাটির প্রতিষ্ঠাতা জন মাটজি এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় লেখেন, “হ্যালো বিশ্ব, এটা কী এখনও সচল?” পোস্টের নিচে পার্লারের একটি নোটিশও ঝুলছিলো। ওই নোটিশে লেখা ছিলো, চ্যালেঞ্জের সমাধান হলেই প্ল্যাটফর্মটি ফিরে আসবে।