ক্যাটাগরি

ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদিকে মার্কিন সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা বাইডেনের

তিনি বলেছেন, ছয় বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধ, যা আসলে ইরান ও
সৌদি আরবের দ্বন্দ্বের ফল বলে মনে করা হয়, তা ‘বন্ধ হতে হবে’।

রয়টার্স জানিয়েছে, ইয়েমেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনেতিক
চেষ্টা জোরদারে বাইডেন তার বিশেষ দূত হিসেবে বর্ষিয়ান মার্কিন কূটনীতিক টিমোথি
লেনডারকিংয়ের নাম ঘোষণা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ভাষায়, ইয়েমেনে এই যুদ্ধ কেবল মানবিক ও
কৌশলগত বিপর্যয়ই ঘটিয়েছে।

ইয়েমেনের বর্তমান পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক
সঙ্কট হিসেবে বর্ণনা করে আসছে। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ এখন খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে, লাখ
লাখ লোক বড় ধরনের দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পরিদর্শনে
গিয়ে বাইডেন বলেন, “এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী, ইয়েমেনে
সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করা হল, যার মধ্যে অস্ত্র
বিক্রি বন্ধের বিষয়টিও থাকবে।” 

এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বারাক ওবামার ডেমোক্র্যাট প্রশাসন এবং
ডনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান প্রশাসনের নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিলেন
বাইডেন, যিনি ওবামার সময় ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে।

তবে বিভিন্ন
দেশ থেকে ইরানের সরবরাহ করা মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করে সৌদি আরবে যেসব হামলা চালানো
হচ্ছে, তা থেকে প্রতিহত করতে এবং সৌদি আরবের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়
মার্কিন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।

রয়টার্স লিখেছে,
সৌদি আরব সরকার বাইডেনের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা
এবং ইরানি হামলার বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে উল্লেখ করার বিষয়টিকে। 

সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ২০১৫ সালে ইয়েমেনে
‘ইরানি সমর্থনপুষ্ট’ হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে।

সেই যুদ্ধের মধ্যে অর্থনৈতিক সঙ্কট আর কোভিড-১৯
মহামারী চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে ইয়েমেনকে।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সেখানে যুদ্ধ বন্ধ করে
শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে সাফল্য আসেনি।