প্রথম টেস্টে বেশ চাপে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ২৩ বলের মধ্যে ৬ রান যোগ করতে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
১৭১ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে শুক্রবার ৩ উইকেটে ৪৭ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা এগিয়ে ২১৮ রানে। পিচ থেকে স্পিনাররা যেভাবে সহায়তা পাচ্ছেন তাতে এই রানই ক্যারিবিয়ানদের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সহ-অধিনায়ক ব্ল্যাকউড জানান, কর্নওয়াল ও গ্যাব্রিয়েলের বোলিং আশা দেখাচ্ছে তাদের।
“ঘণ্টা ও সেশন ধরে আমাদের এগোতে হবে, পরিকল্পনা করতে হবে…আমি জানি, ক্রেইগ (ব্র্যাথওয়েট), জন ক্যাম্পবেল, এনক্রুমা বনার রানের জন্য ক্ষুধার্থ। কাইশ মেয়ার্স, শেন মোজলিও রান করতে চায়। যখন জয়ের সুযোগ আসবে আমরা অবশ্যই এর জন্য চেষ্টা করব।”
“শ্যানন ফ্ল্যাট উইকেটে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে বোলিং করেছে। সে গতিময় ও আগ্রাসী বোলিং করেছে এবং এর পুরস্কার পেয়েছে। আশা করি, কাল সে একই কাজ করবে। জিম্বুও (রাকিম কর্নওয়াল) অসাধারণ বোলিং করেছে। সে ব্যাটসম্যানকে খেলতে বাধ্য করেছে। যদি কালও একই কাজ করতে পারে তাহলে সেও অনেক পুরস্কার পাবে।”
ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডে ভালো খেলা ব্ল্যাকউড প্রথম ইনিংসে পেয়েছেন ফিফটি। জশুয়া দা সিলভার সঙ্গে ৯৯ রানের জুটি উপহার দেওয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৯ চারে ১৪৬ বলে করেন ৬৮ রান। মেহেদী হাসান মিরাজের লেগ স্টাম্পের বাইরে আপাত সাদামাটা বল গ্ল্যান্স করতে গিয়ে ধরা পড়েন কিপারের গ্লাভসে। আউট হয়ে যেন ক্রিজ ছাড়তে চাইছিলেন না ব্ল্যাকউড।
“যেভাবে আউট হয়েছি তাতে আমি খুব হতাশ। আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। ভীষণ হতাশ ছিলাম। আমি জানতাম বলে ব্যাট স্পর্শ করেছে। জিম্বু বলছিল, আমার (রিভিউ) নেওয়া উচিত।”
রিভিউ অবশ্য নেননি ব্ল্যাকউড। তার বিদায়ের পর বেশিদূর এগোতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রাম টেস্টে এখন তাদের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন লড়াই।