দেশটির সামরিক বাহিনীর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে ‘উত্তেজনা সৃষ্টি’ করছে এবং অঞ্চলটির শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করছে।
বৃহস্পতিবার চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলও) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে চীন নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলেই বিবেচনা করে। তাইপে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে তারা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অস্ত্র বিক্রি, তাইওয়ান প্রণালীতে নিয়মিত মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতিসহ নানান বিষয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দহরম-মহরম নিয়ে চীন একাধিকবার তাদের উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে; ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী জাহাজ ইউএসএস জন এস ম্যাককেইন বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাইওয়ান প্রণালী ব্যবহার করেছে।
একে ‘স্বাভাবিক ঘটনা’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও।
পরে এক বিবৃতিতে পিএলএ-র ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড জানায়, তাদের বাহিনী মার্কিন ওই যুদ্ধজাহাজকে অনুসরণ ও নজরদারির মধ্যে রেখেছিল।
“যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ হচ্ছে তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে তাদের পুরনো ‘মিশ্র কারসাজি’ কৌশলের পুনরাবৃত্তি; এর মাধ্যমে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করছে। আমরা এর দৃঢ় প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
“তাইওয়ান প্রণালীর পরিস্থিতি বদলে যাই হোক না কেন, থিয়েটার কমান্ড তাদের দায়িত্ব ও লক্ষ্যে অবিচল থাকবে; জাতীয় সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় অটল থাকবে,” বলা হয়েছে তাদের বিবৃতি।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ মোট ১৩ বার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাওয়া-আসা করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ডনাল্ড ট্রাম্পের অনেক নীতির বিরোধিতা করলেও বাইডেন প্রশাসন তাইওয়ানের প্রতি আগের প্রশাসনের ধারাবাহিকতায় স্বশাসিত দ্বীপটিকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।