দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ চার উইকেটে ১০৬। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৭২ রানে থামিয়ে দেওয়া দলটি এখনও ১৬৬ রানে পিছিয়ে।
সাবধানী ব্যাটিংয়ে টেম্বা বাভুমা খেলছেন ১৫ রানে। ক্রিজে গিয়েই ঝড় তোলা কুইন্টন ডি কক অপরাজিত ২৪ রানে।
পাকিস্তানকে আড়াইশ ছাড়ানো পুঁজি এনে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন আশরাফ। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাতে নেমে খেলেন ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৫৬ রানে ৫ উইকেট নেন নরকিয়া। এই পেসারের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় পাঁচ উইকেট।
তিন উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে পাকিস্তান। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান এদিন দলকে টানতে পারেননি একটুও।
দিনের দ্বিতীয় বলেই নরকিয়ার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে দ্বিতীয় স্লিপে ধরা পড়েন বাবর আজম। পাকিস্তান অধিনায়ক ফেরেন ১২৭ বলে ১২ চারে ৭৭ রানে। ভাঙে ফাওয়াদ আলমের সঙ্গে তার ১২৩ রানের জুটি।
কয়েক ওভার পর বাভুমার দুর্দান্ত সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন ফাওয়াদ। তার ১৫৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে চার ৫টি।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজাওয়ান ও আশরাফ। আস্থার সঙ্গে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন দুইজন। কিন্তু থিতু হয়ে নরকিয়ার বাউন্সারে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন পাকিস্তান কিপার-ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানের আরেকটি উইকেটের পতন। সতীর্থদের সঙ্গে পাঁচ উইকেট নেওয়া আনরিক নরকিয়ার উদযাপন। ছবি: আইসিসি
ফাহিমকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টায় সফল হতে পারেননি হাসান আলি, ইয়াসির শাহ, নুমান আলি ও শাহিন শাহ আফ্রিদিরা। চার জনের একজনও যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
৯৭ বলে ফিফটি করা ফাহিমের ১৬০ বলে ৭৮ রানের ইনিংসে চার ১২টি।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতেই চেপে ধরে পাকিস্তান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে এক ওভারে জোড়া শিকার ধরেন হাসান। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ডিন এলগারকে কট বিহাইন্ড করার পরের বলেই বোল্ড করে দেন রাসি ফন ডার ডাসেনকে।
২৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন এইডেন মারক্রাম ও ফাফ দু প্লেসিও। ফাহিমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন দু প্লেসি। নুমানের স্পিনে ধরাশায়ী মারক্রাম।
এরপর নেমেই বোলারদের ওপর চড়াও হন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ডি কক। খেলেন ঝুঁকিপূর্ণ শট। নুমানের এক ওভারে দুই চারের পর ইয়াসিরের ওভারে মারেন তিনটি। এর পরপরই আলোকস্বল্পতায় আগেভাগেই দিনের খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার আর কোনো উইকেট হারায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১১৪.৩ ওভারে ২৭২ (আগের দিন ১৪৫/৩) (বাবর ৭৭, ফাওয়াদ ৪৫, রিজওয়ান ১৮, ফাহিম ৭৮*, হাসান ৮, ইয়াসির ৮, নুমান ৮, আফ্রিদি ০; রাবাদা ২১-২-৭২-০, নরকিয়া ২৪.৩-৮-৫৬-৫, মহারাজ ৪৫-১১-৯০-৩, লিন্ডে ৫.৫-২-৪-০, এলগার ১.১-০-৬-০, মুল্ডার ১৭-৭-৪০-১)।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৪ ওভারে ১০৬/৪ (এলগার ১৫, মারক্রাম ২৮*, ফন ডার ডাসেন ০, দু প্লেসি ১৭, বাভুমা ১৫*, ডি কক ২৪*; আফ্রিদি ৫-১-১৯-০, হাসান ৫-০-২৯-২, ফাহিম ৫-০-১৬-১, নুমান ৯-৫-১৯-১, ইয়াসির ৪-১-২৩-০)।