বৃহস্পতিবার রাতে কালিয়া
পৌরসভার উথলী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ।
কালিয়া পাইলট মডেল মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের এই ছাত্রীকে রাতেই নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কালিয়া থানার ওসি শেখ কনি
মিয়া জানান, এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচ জনের নামে থানায়
মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়,
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পার্শ্ববর্তী বাড়ির ইউসুফ শেখের ছেলে নিশান শেখ মোবাইলে ফোন
করে কথা আছে বলে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিশানসহ ৫/৬ জন তার
মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী মাঠে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পরে সেখানেই ফেলে তারা চলে যায়।
জ্ঞান ফেরার পর মেয়েটি
বাড়ি ফিরে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন,
এই ঘটনায় এই স্কুলছাত্রীর বাবা ঘটনার রাতেই বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা
আরও দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
আসামিদের মধ্যে নিশান শেখ,
বাপ্পী সিকদার ও নাঈম শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা
চলছে বলে ওসি জানান।
নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক
চিকিৎসা কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাবু বলেন,
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কালিয়া থেকে একটি মেয়েকে সদর হাসপাতালের জরুরি
বিভাগে আনা হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার সকল আলামত সংগ্রহ করাসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা
চলছে। পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল জানানো হবে।