ইমিগ্রেশন নিউ জিল্যান্ড থেকে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতেই ৩৫ জন শরণার্থীর একটি দল দেশটিতে যাচ্ছেন। আর আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আরো প্রায় ২১০ জন শরণার্থী গ্রহণ করবে নিউ জিল্যান্ড।
ইমিগ্রেশন নিউ জিল্যান্ডের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপদ ভ্রমণের সব নীতি মেনে ছোট এক দল শরণার্থী পরিবারকে আমাদের দেশে নিউ জিল্যান্ডের বাসিন্দা হিসেবে বসবাসে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত আছি।”
যারা আসবেন তাদের সবাইকে অবশ্যই ১৪ দিন সরকারি ব্যবস্থায় আইসোলেশন সেন্টারে থাকবে হবে।
নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন তার প্রথম মেয়াদের তুলনায় এই মেয়াদে বেশি সংখ্যায় শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথম মেয়াদে বছরে এক হাজার জন থেকে বাড়িয়ে তা দেড় হাজার জন করা হয়েছে।
কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছর মার্চ থেকে অতি জরুরি ভিত্তিতে কয়েকজনকে ছাড়া শরণার্থী গ্রহণের কাজ স্থগিত রেখেছিল নিউ জিল্যান্ড।
গত বছর শুরুর দিকে কোভিড-১৯ মহামারী যখন বিশ্বজুড়ে থাবা বিস্তার করছে, ঠিক তখন নিজ দেশে এ ভাইরাসের বিস্তার আটকাতে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিউ জিল্যান্ড সরকার। যার সুফল দেশটির জনগণ হাতে হাতে পেয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে অন্যতম সফল দেশ নিউ জিল্যান্ড।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ১,৯৫৯ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২৫ জন।
নিউ জিল্যান্ডে এখন মাত্র ৬২ জন কোভিড রোগী আছেন। শুক্রবার কোয়ারেন্টিন সেন্টারে একজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সফল দেশগুলোর বর্তমান তালিকায় নিউ জিল্যান্ডের অবস্থান সবার উপরে।