মোজা পরে ঘুমালে পায়ের ত্বকের আর্দ্রতা
বজায় থাকে। তবে কিছু নেতিবাচক দিকও আছে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েসাইটের প্রতিবেদনের
আলোকে জানানো হল বিস্তারিত।
রক্ত চলাচলে বাধা দিতে পারে: ঢিলেঢালা মোজা পরে ঘুমানোতে রক্ত সঞ্চালনে কোনো সমস্যা হয় না,
বরং অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেন আরও উন্নত হয়। তবে মোজা যদি আঁটসাঁট হয় সেক্ষেত্রে পায়ে
রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হবে।
ত্বকের প্রদাহ: সুতি ছাড়া সব ধরনের কাপড়ের মোজাতেই ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হওয়া ঝুঁকি থেকেই
যায়, বিশেষত নাইলনের মোজায়। তাই সুতি আর শীতের জন্য উলের মোজাতেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।
পরিষ্কারের দিকেও নজর রাখতে হবে। যে মোজা পরে ঘুমানো হয় তা ময়লা হতেই পারে।
শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়: বাতাস চলাচল করতে পারেনা এমন কাপড়ের মোজা পরলে তা পায়ে অতিরিক্ত
তাপমাত্রা সৃষ্টি করতে পারে। যা পক্ষান্তরে পুরো শরীরের তাপমাত্রা বাড়াবে। শীতের দিনে
ব্যাপারটা সমস্যা না হলেও উষ্ণ আবহাওয়ায় তা অস্বস্তি তৈরি করবে।
ঘুমের সমস্যা:
অভ্যাস না থাকলে কিংবা মোজার ‘ইলাস্টিক’ আঁটসাঁট হলে তা পরে থাকা অস্বস্তি তৈরি করতে
পারে। আর সেই অস্বস্তি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে।
পরিষ্কার পা:
মোজা পরে ঘুমানোর আগে পা ভালো করে পরিষ্কার করে মুছে মোজা পরা উচিত। অন্যথায় বাজে গন্ধ
তৈরি হবে। না ধুয়ে টানা কয়েকদিন মোজা ব্যবহার করলে তা থেকে পায়ে সংক্রমণ দেখা দিতে
পারে।
মনে রাখতে হবে
মোজা পরে ঘুমানোর ভালো মন্দ দু-দিকই আছে।
তাই ঘুমানোর সময় মোজা যদি পরতেই চান তবে ঢিলেঢালা, পরিষ্কার এবং বাতাস চলাচল করতে পারে
এমন মোজা পরতে হবে।
আরও পড়ুন