বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদ এ আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মিয়ানমারের জরুরি অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানায়নি।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সর্বসম্মত এক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলো সমুন্নত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকা, মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা, আইনের শাসনকে পুরোপুরি শ্রদ্ধা করে চলতে বলা হয়েছে।
তাছাড়া, মিয়ানমারের জনগণের স্বার্থে তাদের ইচ্ছানুযায়ী আলোচনার টেবিলে বসা এবং সম্প্রীতির পথে হাঁটার তাগিদ দেওয়া হয়েছে ববৃতিতে।
চীনের জাতিসংঘ মিশনের এক মুখপাত্র বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে যে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে তা “সব পক্ষই মেনে চলবে এবং ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলে বেইজিং আশা করে।”
মিয়ানমারে সর্বশেষ নির্বাচনের ফল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত সোমবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতার দখল নেয়। আটক করে ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) নেত্রী সু চি এবং প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্টসহ বেশ কয়েকজন এমপিকেও।
সু চির বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করেছে মিয়ানমার পুলিশ। এসব অভিযোগ তদন্তের জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে রিমান্ডে রাখা হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত বুধবারই মিয়ানমারের অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “মিয়ানমারের ওপর পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ করে এই অভ্যুত্থানের ব্যর্থতা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ে মূল ভূমিকা পালনকারী দেশগুলোকে সক্রিয় করতে সম্ভাব্য সবকিছুই করব আমরা।”