সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শনিবার দশম আসরের ফাইনালে ২৭ রানে জিতেছে সিডনি। ভিন্সের ফিফটিতে তারা করেছিল ১৮৮ রান। পার্থ থামে ১৬১ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সিডনির এটি টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে তৃতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১১-১২ মৌসুমে উদ্বোধনী আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। দলটি সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ের রেকর্ডে স্পর্শ করল পার্থকে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিডনিকে প্রায় একাই টানেন ওপেনার ভিন্স। ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ৬০ বলে ৯৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ১০ চার ও ৩ ছক্কায়। আগের ম্যাচে তিনি রান তাড়ায় করেছিলেন অপরাজিত ৯৮।
সিডনির আর কেউ ২০ পেরুতে পারেননি। ১৪ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান।
লক্ষ্য তাড়ায় পার্থকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট ও লিয়াম লিভিংস্টোন। প্রথম চার ওভারে তারা তোলে ৪৩ রান। পরের ওভারে ব্যানক্রফটকে (১৯ বলে ৩০) ফিরিয়ে ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন জ্যাকসন বার্ড। অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার পরে ফেরান লিভিংস্টোনকেও।
৩৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ করে লিভিংস্টোনের বিদায়ের পর আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। পার্থও পারেনি লক্ষ্যের কাছাকাছি যেতে।
চার ওভারে ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিডনির সফলতম বোলার বেন ডোয়ারসাস। বার্ড, শন অ্যাবট ও ক্রিস্টিয়ান নেন ২টি করে উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ভিন্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিডনি সিক্সার্স: ২০ ওভারে ১৮৮/৬ (ফিলিপস ৯, ভিন্স ৯৫, হিউজ ১৩, হেনরিকস ১৮, সিল্ক ১৭*, ক্রিস্টিয়ান ২০, ব্র্যাথওয়েট ১০; বেহরেনডর্ফ ৪-০-৩৬-০, রিচার্ডসন ৪-০-৪৫-২, টাই ৪-০-২৯-২, ফাওয়াদ ৩-০-১৬-১, হার্ডি ৩-০-৩৭-০)
পার্থ স্কর্চার্স: ২০ ওভারে ১৬১/৯ (ব্যানক্রফট ৩০, লিভিংস্টোন ৪৫, মানরো ২, ইনগ্লিস ২২, মার্শ ১১, টার্নার ১১, হার্ডি ২৬, রিচার্ডসন ৭*, টাই ০, বেহরেনডর্ফ ০, ফাওয়াদ ০*; বার্ড ৩-০-১৪-২, ডোয়ারসাস ৪-০-৩৭-৩, অ্যাবট ৩-০-৩৩-২, ক্রিস্টিয়ান ৪-০-২৫-২, ও’কিফ ৪-০-২৬-০, ব্র্যাথওয়েট ২-০-১৪-০)
ফল: সিডনি সিক্সার্স ২৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: জেমস ভিন্স
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: জশ ফিলিপস।