ক্যাটাগরি

ভারতে যাচ্ছেন রেল কর্মকর্তারা, আলোচনায় ঢাকা-শিলিগুড়ি ট্রেন

রেলপথ মন্ত্রী
নুরুল ইসলাম সুজন শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিবছর বাংলাদেশ ও ভারতের
রেল কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই বার বৈঠকে বসেন। চলতি মাসে এ ধরনের একটি বৈঠকে
ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল নিয়ে আলোচনা হবে।”

আগামী ২৬
মার্চ থেকে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন (ফাইল ছবি)

রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন (ফাইল ছবি)

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী
বলেন, “মহামারীর কারণে এখনও সব কিছু স্বাভাবিক হয়নি। বিষয়টি যাত্রী সম্পর্কিত, তাই
আরও অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হবে। তবে এ বিষয়ে আলোচনা করে এগিয়ে রাখতে চাই। ২৬ মার্চই
যাত্রীবাহী ট্রেন এ রুটে চলাচল শুরু করা যাবে কি না এজন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।” 

রেল কর্মকর্তাদের
ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক
মো. শাহীদুল ইসলাম।

তিনি শনিবার
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতি বছরই এ ধরনের বৈঠক হয়ে থাকে। একটি প্রতিনিধি
দল চলতি সপ্তাহে ভারতে যাওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেছে।”

শাহীদুল ইসলাম
বলেন, ৭ জানুয়ারি তাদের ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। পিছিয়ে তা আগামী সপ্তাহে নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়িতে এ বৈঠক হবে।

“ভারত থেকে
বাংলাদেশে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর অপারেশন কার্যক্রম নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হবে। এছাড়া
ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে।”

অর্ধ শতাব্দীর
বেশি বন্ধ থাকার পর গত ১৭ ডিসেম্বর আবারও চালু হয় বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের
হলদিবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচল।

হাতছানি দিয়ে চিলাহাটি থেকে ছুটল মালবাহী ট্রেন
 

ঢাকা-শিলিগুড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন আগামী মার্চেই: মন্ত্রী

এ রেলপথ উদ্বোধনের
দিন চিলাহাটিতে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছিলেন, “এ পথ দিয়ে আপাতত দুই দেশের
মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে। দুই দেশের সম্মতিক্রমে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ঢাকা
থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

ব্রিটিশ আমল
থেকেই চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দার্জিলিং থেকে
খুলনা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত এ রেলপথে নিয়মিত একাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করত।
১৯৬৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।