শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আলোক প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের স্মরণ করেন তারা।
পরে এক সমাবেশ থেকে বক্তারা বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়সহ বিভিন্ন সময়ে মৌলবাদী শক্তির হাতে নিহত মঞ্চের সংগঠক, প্রগতিশীল লেখক ও ব্লগার হত্যার দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি লেখক অভিজিৎ হত্যার রায় ঘোষণা না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন তারা।
মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও যুব ইউনিয়নের নেতা খান আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, “গণজাগরণ মঞ্চের জন্যই আজকে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে। ওই জাগরণে আমরা আমাদের অনেক সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি। আমরা আজকে তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। স্মরণ করছি, শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে, যার জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই মঞ্চ গড়ে উঠেছিল। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।”
সমাবেশে মঞ্চের আরেক সংগঠক রবিন আহসান বলেন, “২০১৩ সালের পর আজ পর্যন্ত যেসব মুক্তচিন্তার পথিকদের হারিয়েছি, তাদের হত্যার কোনো বিচার হয়নি। প্রতিবার বলা হচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এগিয়ে চলছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে আমরা নিশ্চিত, সেদিন এই হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করা হবে না। আবার এই রায় পেছাবে। এভাবে আর কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না।”
তিনি বলেন, “যেই লক্ষ্য নিয়ে এই গণজাগরণ মঞ্চ গঠিত হয়েছিলো, সেই লক্ষ্যে আমরা এখনও পৌঁছাতে পারিনি। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে মঞ্চের অন্যতম সংগঠক আকরামুল হক, অ্যাডভোকেট জীবনানন্দ জয়ন্ত, সঙ্গীতা ইমাম, এফ এম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।