ক্যাটাগরি

উইন্ডিজকে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ৩১৭ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। বাংলাদেশের যে কোনো মাঠেও রেকর্ড সেটিই।

টেস্টের চতুর্থ দিনে শনিবার চা বিরতির আগে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৮ উইকেটে ২২৩ রানে। প্রথম ইনিংসে লিড ছিল ১৭১।

চারশ ছুঁইছুঁই লক্ষ্য দিতে পারার মূল কারিগর মুমিনুল হক। বাংলাদেশ অধিনায়ক একাই করেছেন দলের অর্ধেকের বেশি রান। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ চারে ১৮২ বলে ১১৫ রানের ইনিংস।

তামিম ইকবালকে (৯) পেছনে ফেলে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন এককভাবে মুমিনুলের (১০)। এই মাঠে মুমিনুলের এটি সপ্তম সেঞ্চুরি।

৩ উইকেটে ৪৭ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ মুশফিকুর রহিমকে হারায় শুরুর দিকেই। ১৮ রান করে রাকিম কর্নওয়ালের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর দলকে এগিয়ে নেন মুমিনুল ও লিটন দাসের জুটি।

পঞ্চম উইকেটে এই দুজন গড়েন ১৩৩ রানের জুটি।

মুমিনুলের সঙ্গে দারুণ খেলছিলেন লিটনও। শুরুতে খানিকটা অস্বস্তি থাকলেও পরে স্বচ্ছন্দেই রান বাড়াচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে তিনি ডেকে আনেন নিজের পতন। আউট হয়ে যান ১১৫ বলে ৬৯ রান করে।

ফিফটির পর ব্যাট উঁচিয়ে ধরেছেন লিটন দাস।

ফিফটির পর ব্যাট উঁচিয়ে ধরেছেন লিটন দাস।

সঙ্গীকে হারানোর পরের ওভারে বিদায় নেন মুমিনুলও। গ্যাব্রিয়েলের বলে একটি বাউন্ডারি তিন হাজার রান পূর্ণ হয় তার। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৩ হাজার রানের রেকর্ডে স্পর্শ করেন তামিমকে (৭৬ ইনিংস)। কিন্তু পরের বলেই ছক্কা মারার চেষ্টায় ধরা পড়েন সীমানায়।

এরপর জোমেল ওয়ারিক্যানের এক ওভারেই আউট হন তাইজুল ইসলাম ও প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর আর অপেক্ষা করেননি মুমিনুল, ইতি টানেন দলের ইনিংসের।

মাঠে এলেও ঊরুর চোটের কারণে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি সাকিব আল হাসান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৩০

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৫৯

বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৪৭/৩) ৬৭.৫ ওভারে ২২৩/৮ (ডি.)  (মুমিনুল ১১৫, মুশফিক ১৮, লিটন ৬৯, মিরাজ ৭, তাইজুল ৩, নাঈম ১*; রোচ ৭-১-১৭-০, কর্নওয়াল ২৭-২-৮১-৩, গ্যাব্রিয়েল ১২-০-৩৭-২, ওয়ারিক্যান ১৭.৫-০-৫৭-৩, বনার ২-০-১৩-০, ব্র্যাথওয়েট ১-০-৭-০, মেয়ার্স ১-০-১১-০)।