তিন সদস্যের ওই কমিটির
প্রধান করা হয়েছে যশোরের কারা উপমহাপরিদর্শক
মো. ছগির মিয়াকে। কমিটির
অন্য সদস্যরা হলেন- কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার
(চলতি দায়িত্ব) মো. গিয়াস উদ্দিন এবং ফরিদপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার আল মাসুমকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে
ছগির মিয়া শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বুধবার কমিটি গঠন করা
হলেও আজ জানতে পেরেছি।”
কাজ শুরু করেছেন কি
না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার কাশিমপুর কারাগার-১ এ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন তারা।
নিয়ম ভেঙে কাশিমপুর
কারাগারে হল-মার্ক কর্মকর্তা তুষারের দর্শনার্থীর সাক্ষাতের ঘটনায় ইতোমধ্যে জ্যেষ্ঠ
জেল সুপার ও জেলারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অভিযোগের ‘প্রমাণ’
পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও
ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
মহামারীর মধ্যে কারাবন্দিদের
সঙ্গে বাইরের কারও দেখা করার সুযোগ না থাকলেও গত ৬ জানুয়ারি দুপুরে কাশিমপুর কারাগারে
তুষারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এক নারী। তা আলোচনার জন্ম দেয়। সাক্ষাতের ওই ভিডিও প্রকাশিত
হয় গণমাধ্যম।
এরপর জেল সুপার রত্না
রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ, ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো.
আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, তদন্তের পর কারাবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার
ও জেলারকে বরখাস্ত করা হয়।
এই ঘটনায় এর আগে দুটি
তদন্ত কমিটি গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ।
একটি তদন্ত কমিটি বুধবার
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে ৪৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেন।
তাতে ১৮ কর্মকর্তা ও কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
তদন্ত কমিটি ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে
সাময়িক বরখাস্ত করা, চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, বিভাগীয় ব্যবস্থা
নেওয়া, কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে জেলা কারাগারে পদায়ন করা, কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে
পদায়ন করাসহ ২৫টি সুপারিশ করে।