শুক্রবার বিকালে
উপজেলার রায়পুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত চেয়ারম্যানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি শান্ত
রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে একজনকে
আটক করেছে।
আহত আনোয়ার
হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক।
গুরুদাসপুর
থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার হোসেন শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার চাপিলা
ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে স্থানীয় লোককজনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য যান।
“তিনি সেখানে
পৌঁছানোর পরপরই কয়েকজন যুবক তাকে মারধর শুরু করে। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার
করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।”
উপজেলা চেয়ারম্যান
আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরপরই কয়েকজন লোক আমার ওপর হামলা করে।
কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাকে কিলঘুষি মারতে শুরু করে।
“এই সময় হামলাকারীরা
বলছিল, এমপির হুকুম এখানে যে আসবে তাকে মেরে শোয়ায়ে ফেলতে হবে।”
তবে নাটোর জেলা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনায় তার
কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি লোকমুখে শুধু ঘটনার কথা শুনেছেন। কারা মেরেছে তাও তিনি জানেন
না।
গুরুদাসপুর
থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আকষ্মিকভাবে পুলিশের সামনে চেয়ারম্যানকে কিছু লোক
মারতে শুরু করে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক তাকে রক্ষা করে এবং তার ওপর হামলার অভিযোগে আব্দুস সবুরকে আটক করে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক
রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।