ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন লাঞ্চের পর মুমিনুল পা রাখেন তিন অঙ্কে। তার দশম টেস্ট সেঞ্চুরি এটি, ৭টিই চট্টগ্রামে।
বাংলাদেশের হয়ে এই প্রথম সেঞ্চুরি সংখ্যায় দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন কোনো ব্যাটসম্যান। ৯ সেঞ্চুরি নিয়ে এতদিন যৌথভাবে শীর্ষে থাকা তামিম ইকবালের অবস্থান তালিকায় এখন দুইয়ে।
১১৭ ইনিংস খেলে তামিমের এখন ৯ সেঞ্চুরি। মুমিনুলের ১০টি হয়ে গেল ৭৬ ইনিংসেই।
সেঞ্চুরি পেরোনোর পর আরেকটি মাইলফলকও অর্জন করেন মুমিনুল। ১১৪ রানে পূর্ণ হয় তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩ হাজার রান। এখানে তিনি স্পর্শ করেন তামিমের রেকর্ড। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৩ হাজার রানের রেকর্ড এখন যৌথভাবে দুজনের, ৭৬ ইনিংসে।
এই মাঠে প্রথম ৬ বার ফিফটি ছুঁয়ে প্রতিটিকেই সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছিলেন মুমিনুল। পারেননি শুধু সবশেষ টেস্টে। সেই ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের হার যেমন ছিল হতাশার, তেমনি বিস্ময় ছিল মুমিনুলের ৫২ রানে ফেরা। সেটি যে কেবলই বিচ্ছিন্ন কিছু, মুমিনুল প্রমাণ করে দিলেন এবার।
৩১ রান নিয়ে শনিবার তিন শুরু করেছিলেন মুমিনুল। দিনের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই দুর্দান্ত এক অন ড্রাইভে বাউন্ডারি মারেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে। পরে কেমার রোচকে বাউন্ডারি মারেন র্যাম্প শটে। গ্যাব্রিয়েল তার জন্য শরীর তাক করে শর্ট বলের কৌশল নেন। তাতে লাভ হয়নি কোনো। পরে দুই প্রান্তে স্পিনার দিয়েও বেঁধে রাখা যায়নি তাকে।
৮৪ বলে তিনি স্পর্শ করেন ফিফটি। দিনের শুরুতে মুশফিকুর রহিম বিদায় নিলেও লিটন দাসের সঙ্গে মিলে মুমিনুল এগিয়ে নেন দলকে। সেঞ্চুরি করতে লাগে ১৭৩ বল, তার ক্যারিয়ারের যা মন্থরতম সেঞ্চুরি। শতরানে বাউন্ডারি ছিল ৯টি।
এক মাঠে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরিতে টেস্ট ইতিহাসে এখন তিনি যৌথভাবে চারে। গলে ৭টি সেঞ্চুরি আছে কুমার সাঙ্গাকারার ও মাহেলা জয়াবর্ধনের, অ্যাডিলেইড ওভালে মাইকেল ক্লার্কের। কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে ৮টি সেঞ্চুরি আছে সাঙ্গাকারার। কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে জ্যাক ক্যালিস ও মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের সেঞ্চুরি ৯টি করে। সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে ১১ টি সেঞ্চুরি করে এক মাঠে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড জয়াবর্ধনের।
৩ হাজার পেরিয়েই মুমিনুল আউট হয়ে যান ১১৫ রান করে।