নিজেদের ওয়েবসাইটে শনিবার গত দশকের (২০১১-২০) প্রতিটি মহাদেশের
আলাদা আলাদা করে সেরা তিন জন করে পুরুষ ও নারী ফুটবলারের তালিকা দিয়েছে (আইএফএফএইচএস)।
অনেকের মতে সময়ের সেরা ফুটবলার মেসি এই সময়ে বার্সেলোনার
হয়ে জিতেছেন দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, রেকর্ড ছয়টি লা লিগা ও পাঁচটি কোপা দেল রেসহ আরও
অনেক শিরোপা।
ব্যক্তিগত অর্জনও কম নয় মেসির। ক্যারিয়ারের রেকর্ড ছয়বার
বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন তিনি, এই দশকেই চারবার। রেকর্ড সাতটি পিচিচি ট্রফির
ছয়টিই জিতেছেন এই সময়ে। ছোট-বড় আরও বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত পুরস্কার এই সময়ে উঠেছে তার
হাতে।
ক্যারিয়ারের সোনায় মোড়ানো এই দশকে জাতীয় দলের হয়ে কোনো
ট্রফি না জিতলেও ২০১৪ বিশ্বকাপে দেশকে ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
পরের দুই বছরে কোপা আমেরিকার দুটি আসরেও ফাইনালে খেলেছিল তার দল আর্জেন্টিনা।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেইমারও খুব বড় কোনো সাফল্য পাননি।
তবে ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। আর ২০১৬ রিও অলিম্পিকে
তার হাত ধরেই অলিম্পিকে প্রথম সোনার পদক জেতে ব্রাজিল।
ক্লাব ফুটবলে অবশ্য দারুণ সফল নেইমার। সান্তোসের হয়ে মহাদেশ
সেরার ট্রফি জিতে ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ তিনি। এরপর মেসির সঙ্গে কাতালান ক্লাবটিতে
জেতেন দুটি লা লিগা, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ অনেকগুলো শিরোপা। পরে পিএসজিতে যোগ দিয়ে
টানা তিনটি লিগ ওয়ানসহ পেয়েছেন অনেক অনেক শিরোপার স্বাদ।
আলভেসের সাফল্যও কোনো অংশে কম নয়। বার্সেলোনায় তিন জনই
খেলেছেন একসঙ্গে। মেসি-নেইমারের মতো তিনিও জিতেছেন অনেক শিরোপা; পেছনে ফেলে আসা দশকে
দলটির হয়ে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি লা লিগা ও তিনটি কোপা দেল রেসহ জিতেন অনেক
শিরোপা।
বার্সেলোনা ছেড়ে যোগ দেন ইউভেন্তুস, পরে পিএসজিতে। দুটি
ক্লাবের হয়েও জেতেন লিগ ও অন্যান্য শিরোপা। বর্তমানে স্বদেশের ক্লাব সাও পাওলোয় খেলছেন
৩৭ বছর বয়সী এই লেফট-ব্যাক।
জাতীয় দলের হয়ে আলভেস দুটি কনফেডারেশন্স কাপ জিতেছেন, যার
দ্বিতীয়টি ২০১৩ সালে। আর ২০১৯ সালে তার নেতৃত্বেই কোপা আমেরিকা জয় করে ব্রাজিল।
আইএফএফএইচএস-এর দশক সেরা তিন নারী খেলোয়াড়ই ব্রাজিলের;
ফরোয়ার্ড মার্তা, ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ানি হোজেইরা ও সাবেক মিডফিল্ডার ফোরমিগা।