প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার লা লিগায় পিছিয়ে পড়ার পর ২-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হাভি গালানের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ওয়েস্কা।
সব প্রতিযোগিতা মিলে শেষ আট ম্যাচে এ নিয়ে মাত্র তিনটিতে জিতল রিয়াল। গত সপ্তাহে লিগে লেভান্তের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হেরেছিল তারা।
অধিনায়ক সের্হিও রামোস ও ফরোয়ার্ড এদেন আজারসহ চোটের ছোবলে একের পর এক খেলোয়াড় ছিটকে যাওয়ায় রিয়ালের দল গড়াই হয়ে পড়ে মুশকিল। কোনোমতে একাদশ সাজানো হলেও বেঞ্চে আনকোড়া রাখতে বাধ্য হন কোচ জিদান। মাঠের ফুটবলেও পড়ে এর প্রভাব।
লেভান্তের বিপক্ষে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ রিয়ালের আক্রমণভাগ এদিনও প্রথমার্ধে ছিল ধারহীন। তাদের রক্ষণে প্রথম চার মিনিটে দুবার ভীতি ছড়ায় ওয়েস্কা। কোনো শটই অবশ্য লক্ষ্যে ছিল না। ত্রয়োদশ মিনিটে দারুণ ক্ষিপ্রতায় বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিউস জুনিয়র, কিন্তু করিম বেনজেমার উদ্দেশে দুর্বল পাস দিয়ে হতাশ করেন তিনি।
৩৩তম মিনিটে ম্যাচে প্রথম লক্ষ্যে শটের দেখা মেলে। বেনজেমার ডি-বক্সের বাইরে থেকে দূরের পোস্টে নেওয়া নিচু শটটি ঝাঁপিয়ে ঠেকান স্বাগতিক গোলরক্ষক আলভারো ফের্নান্দেস।
প্রথমার্ধের ধারহীন রিয়াল বিরতির পর তেতে উঠবে কী, উল্টো দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় ওয়েস্কা। ৪৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে সতীর্থের পাস ডি-বক্সে মুখে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভেতরে ঢুকেই বাঁ পায়ের জোরালো শট নেন গালান। বল দূরের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।
দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। তবে রাফা মিরের শট ক্রসবারে বাধা পেলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় রিয়াল।
৫৫তম মিনিটে রিয়াল শিবিরে সমতার স্বস্তি ফেরে। বেনজেমার দারুণ ফ্রি কিকে বল ক্রসবারে লেগে ওপরে উঠে যায়। বলের প্রতি স্থির দৃষ্টি রেখে গোলমুখে জটলার মধ্যে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন ভারানে।
চার মিনিট পর একক নৈপুণ্যে আলো ছড়ান আসেনসিও। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে কয়েকজনকে ফাঁকি ডি-বক্সে ঢুকে শট নেন তিনি। ডিফেন্ডার হোর্সে পুলিদোর পায়ে তা প্রতিহত হয়। ৬৩তম মিনিটে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মিরের হেড ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান থিবো কোর্তোয়া।
খানিক পর মিনিটের ব্যবধানে ভালো দুটি সুযোগ পায় রিয়াল। কিন্তু দেখা মেলেনি গোলের। গোছালো আক্রমণে বেনজেমার শট গোলরক্ষক পা দিয়ে ঠেকানোর পর বদলি মার্সেলোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৭৭তম আবারও হতাশ করেন বেনজেমা। আসেনসিওর হেড গোলমুখে প্রতিহত হওয়ার পর ফাঁকায় বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
৮৪তম মিনিটে অবশেষে এগিয়ে যায় রিয়াল। টনি ক্রুসের কর্নারে ছয় গজ বক্সে কাসেমিরোর লাফিয়ে নেওয়া হেড গোলরক্ষক ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেনি, কাছ থেকে বাঁ পায়ের শটে জয়সূচক গোলটি করেন ভারানে।
ঘাম ঝরানো জয়ে বার্সেলোনাকে টপকে দুইয়ে ফিরল রিয়াল। ২১ ম্যাচে ১৩ জয় ও চার ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৪৩। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৪০।
১৯ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।