ক্যাটাগরি

মিশ্র ত্বকের যত্নে যা খেয়াল রাখা দরকার

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হালকা প্রসাধনী ব্যবহার
করতে হয়। অন্যদিকে শুষ্ক ত্বকের জন্য চাই আর্দ্রতা রক্ষাকারী পণ্য। তবে মিশ্র ত্বকের
জন্য চাই আলাদা যত্ন।

মুখের বিভিন্ন অংশের ধরন বুঝে প্রসাধনী
ব্যবহার না করলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদন অবলম্বনে মিশ্র ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানো হল

একাধিক সিরাম ব্যবহার বাদ দেওয়া: একই সঙ্গে একাধিক সিরাম ব্যবহার মিশ্র ত্বকের ক্ষতির কারণ হতে
পারে। কারণ মিশ্র ত্বক শুষ্ক ও তৈলাক্ত ত্বকের সমন্বয়ে গঠিত। একসঙ্গে একাধিক সিরাম
ব্যবহার ত্বকের ওপরে স্তরের সৃষ্টি করে। ফলে ত্বকের ওপর ভিন্ন ভিন্ন যৌগ বিরূপ প্রভাব
ফেলে। তাই, মিশ্র ত্বকে একাধিক সিরাম ব্যবহার করা ঠিক নয়।

ঘন ময়েশ্চারাইজার এড়িয়ে চলা: এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার সাধারণত শীতপ্রধান অঞ্চলের জন্য তৈরি
করা হয়। ভারী ময়েশ্চারাইজার ত্বকের ওপরে তৈলাক্তভাব তৈরি করে যা দূষণকে আরও আকৃষ্ট
করে। ফলে ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়।

উচ্চ মাত্রার স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ক্লিঞ্জার এড়ানো: মিশ্র ত্বকের জন্য উচ্চ যৌগের স্যালিসাইলিক
অ্যাসিড ব্যবহার করা ক্ষতিকর। তাই যদি এই অ্যাসিড ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই
এর পরিমাণের প্রতি সচেতন থাকা উচিত। সপ্তাহে একবার স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্যবহার করা
যেতে পারে। এটা প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে।

অ্যালকোহল ভিত্তিক টোনার বাদ: ত্বকে কোনোভাবেই অ্যালকোহল ভিত্তিক টোনার ব্যবহার করা যাবে না।
এটা ত্বককে আরও তৈলাক্ত করে ফেলে। আর পিএইচ’য়ের ভারসাম্য নষ্ট করে।

বহুমুখী মাস্ক ব্যবহার করা: মিশ্র ত্বকের জন্য বহুমুখী মাস্ক ব্যবহার উপকারী। ত্বকের ধরন
বুঝে ভিন্ন ভিন্ন অংশে আলাদা আলাদা মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়ে। তবে আরেকটি উপায় আছে।

গোসলের আগে পরিষ্কারক ক্লে মাস্ক ও পরে
আর্দ্রতা রক্ষাকারী শিটমাস্ক বা জেল মাস্ক ব্যবহার ত্বকের সৌন্দর্যের ভারসাম্য রক্ষা
করে। 

আর্দ্র রাখতে মিস্ট ব্যবহার: ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফেইস মিস্ট ব্যবহার করা ভালো। দিনের
যেকোনো সময় মুখে মিস্ট স্প্রে করলে ত্বক সতেজ রাখার পাশাপাশি কমাবে অস্বস্তি।

সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে আর্দ্রতা রক্ষাকারী সিরাম ব্যবহার: মিশ্র ত্বক ভালো রাখার মূল চাবিকাঠি
হল কম প্রসাধনীর ব্যবহার। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে শুধু ভিটামিন সি সিরাম বা হ্যালোরনিক
অ্যাসিড সমৃদ্ধ জেল মাখলে এই ধরনের ত্বকে খুব ভালো কাজ করে।

রাতে ত্বকে রেটিনল ব্যবহার: সব ধরনের ত্বক এমনকি ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য রেটিনল উপকারী। এটা
লোমকূপ সংকুচিত করে এবং ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করে।

তাই রাতে ত্বকের যত্নে রেটিনল সেরাম ব্যবহার
উপকারী।

আর্দ্রতা রক্ষাকারী মাস্ক ব্যবহার: ত্বকে দ্রুত আর্দ্রতা বাড়াতে রাতে ‘লিভ-ইন হাইড্রেটিং
মাস্ক’ ব্যবহার করা ভালো। এটা ত্বক পুনর্গঠিত করতে সাহায্য করে।

ছবি: রয়টার্স।

 

আরও পড়ুন

মিশ্র ত্বকের পাঁচ চিহ্ন
 

ত্বকের ধরন বুঝে খাদ্যাভ্যাস
 

ত্বকের প্রকার সম্পর্কে ধারণা