কাদামাটির হৃদয় খুড়ে একজন লিখতে বসে দেখলেন তৃতীয় বিশ্বের বিস্ময়কর বদলে যাওয়ার উপাখ্যান।
কিন্তু মরণ খেলার অভ্যস্ততার ফাঁক গলে বেঁচে থাকার নির্যাস তো চাই। সে জন্যই লেখা হল যতিন স্যারের ক্লাসের গল্প।
আমাদের কিশোরবেলার দৃশ্যগুলো আরও একটু রঙিন হয়ে গেল তার শব্দকল্পের জাদুতে।
তারপর যতীন স্যারের ক্লাস শেষ, জানিয়ে দিল ঘন্টাবাদক। আমরা ছুটতে ছুটতে বেরিয়ে দেখি ঘুম ভাঙা শহরে এসে গেছি।
একাকী স্বপ্ন দেখা সেই কিশোর ছেলের সাথে দেখা হয়ে গেল। পৃথিবীর আলোয় আসা আর একটি শিশুকেও দেখলাম সাজানো বাগানের আলোয় আকাশের দিকে চেয়ে আছে আনমনে।
তারপর একটু একটু করে বেড়ে ওঠার দিন। আহ, কী জানি কী একদিন ছিল!
একদিন হাওয়ায় ভেসে এল, ‘আমি ভুলে যাই, তুমি আমার নও?’ সত্যি! আমার তো ছিলে না কোনো দিন!
তবু তো চায়ের কাপে পরিচয় হয়েছিল বেশ, পথে দেখা হয়েছিল আবার। পথ থেকে প্রান্তরের সময় যেন কাটেনা কারও।
একা থাকার সেই বিষাদ যত্নে ধরে একজন আনন্দের গান ধরলো- এক চোখে স্বপ্ন আর অন্য চোখে আগুন নিয়ে।
সেই স্বপ্নালু আগুনে ঝিরিঝিরি বাতাস দোলা দিয়ে গেল, আমরা পরস্পরকে খুঁজে পেলাম। কাশবন পেছনে ফেলে হারানো বিকেলের গল্প করলাম হাসিমুখে….
পাঠক, এতক্ষণ যার ‘লিরিক’ নিয়ে আমি দৃশ্যকল্প রচনার চেষ্টা করলাম, তিনি বাংলা গানে আমার সবসময়ের প্রিয় গীতিকারদের একজন, শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।
তার লেখা কিছু গানের সঙ্গে আপনাদের আবারও পরিচয় করিয়ে দেওয়া সঙ্গত মনে করছি, এই আনন্দ উপলক্ষ্যে।
* হারানো বিকেলের গল্প বলি (সোলস)
* একদিন ঘুম ভাঙা শহরে (এলআরবি)
* কী জানি কী এক দিন ছিল (এলআরবি)
* তৃতীয় বিশ্ব এমনই বিস্ময় (রেনেসাঁ)
* আজ যে শিশু (রেনেসাঁ)
* হৃদয় কাদা মাটির কোনো মূর্তি নয় (রেনেসাঁ)
* হে বাংলাদেশ তোমার বয়স (রেনেসাঁ)
* ভালোবাসি ওই সবুজের মেলা (সোলস)
* এক চোখে শুধু স্বপ্ন (সোলস)
* চায়ের কাপে পরিচয় (সোলস)
* যতিন স্যারের ক্লাসে (নাসিম আলী খান)
* কোলাহল থেমে গেলো (নাসিম আলী খান)
* তুমি তো বলেছিলে ঝিরিঝিরি বাতাসে(পিলু খান)
* সময় যেন কাটে না (সামিনা চৌধুরী)
* দক্ষিণা হাওয়া তোমার ওই চুলে (পার্থ বড়ুয়া)
শুভ জন্মদিন, প্রিয় জঙ্গী ভাই। আপনি ভালো থাকুন নিরন্তর।