মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মেয়াদ শেষের আগের দিন, গত ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সদ্যবিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও হুতিদের কালো তালিকাভুক্ত করেন।
এর দুই সপ্তাহ পর, নতুন প্রশাসনের কাছ থেকে সিদ্ধান্তটি বদলের ইঙ্গিত এল।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পরিদর্শনে গিয়ে বাইডেন ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সামরিক অভিযানে সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ইয়েমেনে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইয়েমেনের অমানবিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই তারা হুতিদের সন্ত্রাসী তকমা তুলে নেওয়ার কথা ভাবছেন।
ইয়েমেনের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের এই মুহুর্তে জরুরি ত্রাণ সহায়তা দরকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ; সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযান ও অবরোধের কারণে দেশটিকে এ ভয়াবহ দুর্ভোগ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার মানে হুতিদের সম্পর্কে এবং তাদের ‘নিন্দনীয় আচরণ’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব বদলে যাওয়া নয়।
বাইডেন প্রশাসনের এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস মারফি।
“(হুতিদের) সন্ত্রাসী তকমা দেওয়ায় ইয়েমেনের ভেতর খাবার ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল; এটি সম্ভবত কার্যকর রাজনৈতিক মধ্যস্থতার পথেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াত,” বলেছেন তিনি।