চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনে বাংলাদেশকে হতাশ করে মেয়ার্স উপহার দেন সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় সেশনে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে বাউন্ডারিতে তিনি শতরানে পা রাখেন ১৭৮ বল খেলে।
অভিষেকে সেঞ্চুরি করা চতুদর্শ ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার মেয়ার্স। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এই স্বাদ পেয়েছিলেন কার্ক এডওয়ার্ডস, ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে ডমিনিকায়।
বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেকে সেঞ্চুরি মেয়ার্সের আগে করতে পেরেছেন কেবল ৩ জন। ২০০১ সালে মুলতানে করেছিলেন পাকিস্তানের তৌফিক উমর, ২০০৩ সালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক রুডলফ ও একই বছর করাচিতে পাকিস্তানের ইয়াসির হামিদ সেঞ্চুরি করেছিলেন দুই ইনিংসেই।
অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি মেয়ার্সের আগে টেস্ট ইতিহাসেই করতে পেরেছেন কেবল ৭ জন। সবশেষ ২০১২ সালে অ্যাডিলেইডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ দু প্লেসি।
শেষ দিনের লড়াইয়ে মেয়ার্সের সঙ্গে দারুণ ব্যাটিং করে চলেছেন আরেক অভিষিক্ত এনক্রমুা বনার। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম পানি পানের বিরতির সময় দুজনের জুটির রান ১৭৬।
টেস্ট ইতিহাসে এটি দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ। ১৯৬৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করাচিতে পাকিস্তানের খালিদ ইবাদুল্লাহ ও আব্দুল কাদির গড়েছিলেন ২৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। এখনও পর্যন্ত দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরি জুটি সেটিই।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬৫ রানের জুটি এতদিন ছিল জিম্বাবুয়ের ডেভ হটন ও অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের, ১৬৫।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের আগের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ১৯৩০ সালে জর্জ হ্যাডলি ও ফ্রাঙ্ক ডি কেয়ার্সের ১২৪।
চতুর্থ ইনিংসে দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটার্সের জুটিতে অবশ্য টেস্ট ইতিহাসেই সেরা মেয়ার্স ও বনার। আগের সেরা ১৩৪ রানের জুটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে, ২০০৩ সালে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ ও ইয়াসির হামিদের।