২০১৪ সালে নিহত এই ব্যক্তিদের দেহাবশেষ শনাক্ত করে গণকবর থেকে তুলে আনা হয়, তারপর শনিবার নিনেভা প্রদেশের সিঞ্জার পর্বতের নিকটবর্তী কোহো গ্রামে দাফন করা হয়; জানিয়েছে বিবিসি।
ওই সময় আইএস উত্তর ইরাকে ইয়াজিদিদের এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়ে কয়েক হাজার পুরুষকে হত্যা করেছিল, পাশাপাশি নারী ও শিশুদের দাস বানায় এবং ধর্ষণ করে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, আইএস এই সম্প্রদায়টির বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে।
ইয়াজিদি অর্গানাইজেশন ফর ডকুমেন্টেশন এর প্রধান খাইরি আলী ইব্রাহিম জানিয়েছেন, নিহত ওই ১০৪ জনের সবাই পুরুষ এবং আইএস তাদের সবাইকে অগাস্ট, ২০১৪-তে হত্যা করেছিল।
কোহোতে আনার আগে বৃহস্পতিবার বাগদাদে অজানা সৈনিকদের স্মৃতিস্তম্ভে তাদের জন্য একটি শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রত্যেকটি কফিন নিহত ব্যক্তিদের ছবি দিয়ে সাজানো ছিল।
ইয়াজিদি মানবাধিকার কর্মী মির্জা দিনায়ি বলেন, “নিহতদের দেহাবশেষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের প্রথম পদক্ষেপ এটি আর অন্যান্য ভুক্তভোগীদের জন্যও এটি একটি অন্তবর্তী বিচারের পদক্ষেপ হবে, নারীরা, শিশুরা, যারা গণহত্যা থেকে বেঁচে গিয়েছিল তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
ইয়াজিদিরা জোরাস্ট্রিয়নিজম ও প্রাচীন মেসোপটেমিয়ান ধর্মের উপাদান নিয়ে তৈরি হওয়া একটি ধর্মের অনুসারি। আইএস ইয়াজিদিদের ধর্মবিরোধী হিসেবে বিবেচনা করে।
২০১৪ সালের ৩ অগাস্ট আইএস হামলা চালানোর আগে ইরাকে আনুমানিক সাড়ে পাঁচ লাখ ইয়াজিদি বসবাস করতো। ওই সময় প্রায় তিন লাখ ৬০ হাজার ইয়াজিদি পালিয়ে অন্য কোথাও আশ্রয় পেয়েছে।