এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে
৪২৩ জন এবং ১৪টি উপজেলায় ৬৬৭ জন।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের টিকা নেওয়ার
মধ্য দিয়ে টিকাদান শুরু হয় চট্টগ্রামে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
প্রথমদিনে নগরীতে ছয়টি কেন্দ্রে ৪২৩ জন টিকা নিয়েছেন।
এর মধ্যে চমেক হাসপাতালে
২৩৫জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৪০জন, নেভি হাসপাতালে ৫০ জন, বিমানবাহিনী হাসপাতালে
৫০জন, সিএমএইচে ২৮ জন এবং বিএমএ ভাটিয়ারির একটি কেন্দ্রে ২০ জন টিকা নেন।
সেলিম আক্তার বলেন, সোমবারে
নগরীর নতুন আরও চারটি কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে।
এগুলো হল- চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, মোহরা এলাকার ছাফা মোতালেব জেনারেল হাসপাতাল, সিটি
গেইট এলাকার মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল এবং বন্দরটিলা এলাকার বন্দরটিলা মাতৃসদন
হাসপাতাল।
প্রথম দিন টিকা গ্রহীতাদের
চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলেও জানান প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের
১৪টি উপজেলায় প্রথমদিনে করোনাভাইরাসের টিকা নেন ৬৬৭ জন, এর মধ্যে ৪৮৭ জন পুরুষ ও ১৮০
জন নারী।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল
সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, টিকা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের
১৪ উপজেলায় নিবন্ধন করেছেন ৭ হাজার ৬৬০ জন। এর মধ্যে ৬৬৭ জন প্রথম দিনে টিকা নেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের
হিসেব মতে, প্রথমদিনে লোহাগাড়া উপজেলায় ২০ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৭০ জন, ফটিকছড়িতে ১৮ জন,
বাঁশখালীতে ৪০ জন, আনোয়ারায় ৭০ জন, সীতাকুণ্ডে ৩৯ জন, সাতকানিয়ায় ৪০ জন, রাউজানে ১০
জন, মিরসরাইয়ে ৫০ জন, চন্দনাইশে ২০ জন, বোয়ালখালীতে ৫০ জন, হাটহাজারীতে ১৫০ জন, সন্দ্বীপে
২০ জন এবং পটিয়া উপজেলায় ৭০ জন টিকা নিয়েছেন।
প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের
চার সপ্তাহ পরে একই স্থানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল
দুপুরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেও করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন
করেন।
এসময় তিনি বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশে যেখানে এখনও করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু
করতে পারেনি, সেখানে হাজারো ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ সারা দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলছে।
“ইতিমধ্যে
চার লাখ মানুষ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে। এটি
বিশাল অর্জন, যা শুধু সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায়। তিনি তৃণমূল
পর্যায়ে গ্রাম অঞ্চলে যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছেন, তার সুফল হিসেবে বাংলাদেশে
এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কম।”
নওফেল
বলেন, “সারাবিশ্ব আজ বলছে, ভ্যাকসিন হিরো শেখ হাসিনা স্টার্টস ভ্যাক্সিনেশন ইন বাংলাদেশ
ফর কোভিড। বাংলাদেশের মত দেশে এইটা শুধু মাত্র সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার
কারণে।”
সিভিল
সার্জন সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে হওয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন
চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, সিটি করপোরেশনের প্রধান
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র
কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব।