স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক রোববার সকাল ১০টা মহাখালী স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়ালি টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর পরপরই সারা
দেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া
শুরু হয়ে যায়।
বাংলাদেশে
দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। সবাইকে এ টিকার দুটি
ডোজ নিতে হবে।
বাংলাদেশে
এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ না হওয়ায় বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ
করা হয়। কারও মধ্যে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না যাওয়ায় পরিকল্পনা
মত রোববার গণ টিকাদান শুরু
হল।
এই
টিকা নিরাপদ এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
জাতীয়ভাবে
কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ
ও প্রস্তুতি পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিন ভাগে (ফেইজ) মোট পাঁচ ধাপে এসব টিকা দেওয়া হবে। কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে
সামনের কাতারে থাকা মানুষ প্রাধান্য পাবেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক টিকা নেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে।
সাবেক প্রধান
বিচারপতি
খায়রুল
হক
জাতীয়
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে টিকা নেওয়ার পর আইন কমিশনের
চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি বিচারপতি এ বি এম
খায়রুল হক বলেন, “এই
টিকার অপেক্ষায় ছিলাম। টিকা দিতে পেরে স্বস্তিবোধ করছি।”
৭৬
বছর বয়সী খায়রুল হক সবাইকে অভয়
দিয়ে বলেন, “এই টিকা না
দিলে নিজেরই ক্ষতি। সকলকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ
মাহমুদ
হোসেন
প্রধান
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দুপুরে সস্ত্রীক শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে গিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা নেন।
পরে
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি টিকা নিয়েছি, আমার এখন পর্যন্ত কোনো অসুবিধা হয়নি। আমিসহ আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতি টিকা গ্রহণ করেছে। হাই কোর্ট বিভাগের ৪০ জন বিচারপতি
টিকা নিয়েছেন।”
সবাইকে
টিকার জন্য নিবন্ধন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশে আগে দেওয়া হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর বিশাল কৃতিত্ব।”
ঢাকার গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে রোববার সকালে করোনাভাইরাসের টিকা নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ
মালেক
শেখ
রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকা
নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “আজ আমাদের আনন্দের
দিন। এই দিনের অপেক্ষায়
ছিলাম। এই টিকা নিয়ে
যেন কোনো রিউমার না হয়।”
গত
বছরের ৮ মার্চ দেশে
প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত
হওয়ার পর থেকে ভাইরাসের
বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ শুরু হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমাদের কার্যক্রম নিয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে। আমরা সমালোচনার ঊর্ধে উঠে কাজ করে গেছি। আজ বাংলাদেশ অনেক
দেশের চেয়ে ভালো আছে। আমাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক।”
এ
পর্যন্ত যত টিকা তৈরি
হয়েছে, তার মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ‘সবচেয়ে ভালো’ বলে দাবি করেন জাহিদ মালেক।
তিনি
বলেন, “কোভ্যাক্স থেকে আরও টিকা চলে আসবে। টিকাদান কার্যক্রম সারা বছর ধরে চলবে। আমরা চাই দেশবাসী স্বাভাবিক জীবনে চলে আসুক। টিকা নিয়ে কোনো সমালোচনা চাই না। দেশবাসীর জীবন রক্ষার্থে এই টিকা দেওয়া
হচ্ছে। আমরা নিজেরা নিচ্ছি, দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ টিকা নিচ্ছেন, তাদের দেখে সাধারণ মানুষ উৎসাহিত হচ্ছে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এক বছর পূর্ণ
হওয়ার আরও এক মাস বাকি।
সংক্রমণের হার ইতোমধ্যে ৩ শতাংশের নিচে
চলে এসেছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী, এই ধারা চলতে
থাকলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।
“আমরা
আশা করি করছি করোনাভাইরাস দূর হয়ে যাবে। ফাইনাল ব্লো-টা আমরা দেব
ভ্যাকসিনের মাধ্যমে।”
কৃষিমন্ত্রী আবদুর
রাজ্জাক
শেখ
রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে টিকা নেওয়ার পর কৃষিমন্ত্রী আবদুর
রাজ্জাক বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারী সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এর বিরূপ প্রভাব
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই পড়েছে। করোনাভাইরাসের টিকা এই মহামারীর বিরুদ্ধে
মানবজাতির একটা বড় অর্জন।
“এই
অর্জন বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ব্যবহার করে হয়েছে। আমি টিকা নেওয়ার পর ভালোই আছি।
টিকা নিয়ে যারা গুজব ছড়াচ্ছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা করছে। পুরো
বিশ্ব টিকা নিচ্ছে, কিছু না কিছু উপকারিতা
তো আছেই।”
বস্ত্র ও
পাট
মন্ত্রী
গোলাম
দস্তগীর
গাজী
দুপুরে
সস্ত্রীক জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে গিয়ে কোভিড-১৯ এর টিকা
নেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
গোলাম দস্তগীর গাজী।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুব দ্রুততার সাথে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা
করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
সবাইকে অপপ্রচার থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমি ভ্যাকসিন নিয়েছি, কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।”
পরিবেশ
মন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু
পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সকালে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে টিকা
নেন।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত
না হয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখতে জনগণকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী নূরুল
ইসলাম
সুজন
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন দুপুরে সচিবালয় ক্লিনিকে গিয়ে টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে
কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এটা চমৎকার একটা ব্যবস্থাপনা। ব্যবস্থাপনা শুধু এখানে নয়, যতটুকু জানতে পেরেছি জেলা পর্যায়ে, উপজেলা পর্যায়ে এই টিকা দেওয়া
হচ্ছে। যেখানে যেখানে আমাদের সংসদ সদস্যরা আছেন সেখানে তারা উদ্বোধন করেছেন।
“আমি নিজেও এখানে ভ্যাকসিন দিলাম। যে অপপ্রচার ছিল,
যারা চিরদিন মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে অপপ্রচার করে… আমার মনে হয় তারা ব্যর্থ হবে।”
টিকা নেওয়ার পর কেমন লাগছে
সেই প্রশ্নে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, “আমি তো একই রকম
অনুভব করছি, ব্যতিক্রম কোনো অনুভুতি আমার হয়নি। আমি আহ্বান জানাব, দেশের প্রতিটি নাগরিককে, কোনো প্রকার দ্বিধা বা সংকোচ না
রেখে আপনারা টিকা নিতে পারেন।”
রাশেদ খান
মেনন
করোনাভাইরাসের
টিকা নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, “এটা আমাদের সৌভাগ্য যে অতি সহজেই
টিকা পেয়েছি।”
দুপুরে
ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাগে গিয়ে টিকা নেন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ
সদস্য মেনন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অতি সাধারণ জিনিস এটা (টিকা)। ছোট বেলায়
এমন টিকার নেওয়ার অভ্যাস আমাদের সকলের আছে।”
এক
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যারা টিকা নিয়ে সমালোচনা করছে তা ভিত্তিহীন। আমি
বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে দেখেছি, এটা নিরাপদ ভ্যাকসিন।”
রাশেদ
খান মেনন সকলকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমার বয়স প্রায় ৮০। টিকা দিয়েছি কোনো সমস্যা হচ্ছে না।”
ঢাকার পুলিশ
কমিশনার
মুহা.
শফিকুল
ইসলাম
সকালে
রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে নিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা নেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি
বলেন, “করোনা যুদ্ধে ডিএমপির ২৭ জন পুলিশ
সদস্য মারা গেছেন। অন্যান্য সাধারণ মানুষের মত আমাদেরও, বিশেষ
করে নিচের স্তরের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সংশয় ছিল টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে।”
সেই
সংশয় দূর করার জন্যই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনাদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম দিনই টিকা নিলেন জানিয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেন, “টিকা নেওয়ার আগে অনেকে বলেছে, স্যার ১০ থেকে ১৫
মিনিট মাথা ঘুরতে পারে। আসলে এটা মানসিক বিষয়। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে কোনো কিছুই হবে না। করোনার টিকা আর চার পাঁচটা
টিকার মতই একটি টিকা।”
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার
ভয় না পেয়ে দেশের
মানুষকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান শফিকুল ইসলাম।
ডা. সামন্ত
লাল
সেন
শেখ
হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি
ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন সকালে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে গিয়ে টিকা নেন। পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, টিকা নিয়ে ‘গর্বিত’ বোধ করছেন তিনি।
“টিকা
নিলাম প্রায় ১০ মিনিট হল।
আমি প্রথমেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। টিকা নেওয়ার পর মনে হচ্ছে
আমি যেন সাহস পেলাম। আমি মনে করি টিকা নেওয়ার পরও সাবধানে থাকতে হবে।”
জাফরুল্লাহ চৌধুরী
দুপুরে
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে গিয়ে টিকা নেওয়ার পর সবাইকে টিকা
নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি চৌধুরী।
তিনি
বলেন, “খুব ভালো আছি। ভয়ের কোনো কারণ নাই। দেশবাসীকে আহ্বান করছি, যার যখনই তারিখ আসবে, আপনারা এসে টিকা নেবেন। এটা আপনার কর্তব্য, জাতির কর্তব্য, দেশের কর্তব্য।
রিকশাওয়ালা
থেকে শুরু করে দেশের সব সাধারণ মানুষ
যেন টিকা পায়, সরকারের প্রতি সেই আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব
আনোয়ারুল
ইসলাম
শেখ
হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে টিকা নেওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আমার তিন বন্ধু বিদেশ রয়েছে। তারা ভ্যাকসিন এক্সপার্ট, তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সুতরাং টিকা নেওয়ার বিষয়ে আমার কোনো ভয় নেই। সবারই টিকা নেওয়া উচিত।”
তিনি
বলেন, দেশের ৭০-৮০ শতাংশ
মানুষকে টিকা দেওয়া গেলে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সুযোগও কমে যাবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া
ঢাকার
সাবেক পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে টিকা নেন।
কোনো
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেক দেশ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারেনি। আমরা অতি দ্রুত ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পেরেছি। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।”
নিজেও
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন জানিয়ে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা
বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে শারীরিকভাবে সবাই সুস্থ থাকব এবং অর্থনৈতিক ভাবে দেশ এগিয়ে যাবে।”
ঢাবি উপাচার্য
অধ্যাপক
আখতারুজ্জামান
বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে টিকা নেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “কয়েকদিন আগেই রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। আজকে প্রথম দিনে টিকা নিলাম, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবাই টিকা নিতে উৎসাহ পায়। সবাইর কোভিড-১৯ টিকা নেওয়া
উচিত, টিকার উপর শতভাগ আস্থা রাখা উচিত।”
তবে
টিকা নিলেও যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস পৃথিবী থেকে পুরোপুরি নির্মূল না হচ্ছে, ততদিন
মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মানতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।