রোববার যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে চিকিৎসক ছাড়াও সংসদ সদস্য, সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রথম দিন টিকা নেওয়া কারও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, কারও কোনো অভিযোগও পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান।
তিনি বলেন, তারা যে ২৭০ জনকে টিকা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ১০২ জন নারী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপ-পরিচালক বলেন, ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টিকাদান চলবে।
মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীরা কেন্দ্রে এসে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নিতে পারবেন। তবে বাকিদের আগে সুরক্ষা ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধন করে আসতে হবে।
রোববার একজন শারীরিক প্রতিবন্ধীকে কেন্দ্রেই নিবন্ধন করে টিকা দেওয়া হয় বলে জানান আজাদ।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল বলেন, রোববার তারা যে ৮০ জনকে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে কোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে টিকা নেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এই টিকার অপেক্ষায় ছিলাম। টিকা দিতে পেরে স্বস্তিবোধ করছি।”
৭৬ বছর বয়সী খায়রুল হক সবাইকে অভয় দিয়ে বলেন, “এই টিকা না দিলে নিজেরই ক্ষতি। সকলকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এছাড়া মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে টিকা নেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালামও এদিন টিকা নিয়েছেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম ও একুশে পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান টিকা নেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রথম দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়, যার মধ্যে ঢাকার ৫০টি কেন্দ্র রয়েছে।