আইএসপিআর
জানিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী
প্রধান কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন
আহমেদ রোববার ঢাকা সিএমএইচে টিকাদান
কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের
পর সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ
(সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান প্রথমে টিকা নেন। পরে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টিকা নেন।
প্রথম
দিন ঢাকা সিএমএইচে প্রায় দুইশ সেনাসদস্যকে টিকা দেওয়া হয়। টিকা নেওয়ার আগেই তারা
‘সুরক্ষা’প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিবন্ধন
করেন।
ঢাকার পাশাপাশি
দেশের অন্য সব সম্মিলিত সামরিক
হাসপাতালেও একযোগে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। নিবন্ধনকারীদের মধ্যে থেকে প্রতিদিন ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
ঢাকা,
চট্টগ্রাম ও খুলনায় নৌবাহিনীর
সকল হাসপাতালেও রোববার থেকে টিকাদান শুরু হয়েছে। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল
ঢাকায় বানৌজা হাজী মহসীনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন
করেন।
আইএসপিআরের
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, টিকা প্রদানের মাধ্যমে “করোনামুক্ত বাংলাদেশ হবে মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার।”
ঢাকায় বাংলাদেশ
বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশারের মেডিক্যাল স্কোয়াড্রনের বাহিনীর সদস্যদের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।
উদ্বোধনের
সময় বিমান বাহিনী প্রধান নিজেই প্রথম টিকা নেন। পরে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সদস্যদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়।
বিমান
বাহিনীর সকল ঘাঁটিতেও একযোগে এই টিকাদান কার্যক্রম
শুরু হয়েছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
এছাড়া প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং প্রায় ৫০ জন ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তা ঢাকা
সিএমএইচে টিকা নেন বলে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়।