রোববার সকালে মালয়েশিয়ার দূত গণভবনে যান বলে
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সাক্ষাতে মালয়েশিয়ান রাষ্ট্রদূত
বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানি করতে আগ্রহী।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ অর্থনৈতিক
অঞ্চলসহ বাংলাদেশে এলএনজির চাহিদার কথা উল্লেখ করেন।
দুই দেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি
(পিটিএ) করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মালেশিয়ান হাইকমিশনার।
ইরুল বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়া সব
সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে কথা দিয়েছেন হাই কমিশনার।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায়
কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে তাদের নতুন আবাসে গেছেন।
শিক্ষা ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের
সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে মালেশিয়ার আগ্রহের কথা জানান হাইকমিশনার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি
ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর করে
দিতে সরকার নিরসলভাবে কাজ করছে।
নরওয়েকে
বড় বিনিয়োগের আহ্বান
নরওয়েকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে
বড় ধরনের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের
অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে প্রবেশ
করার সুযোগ রয়েছে।
রোববার সকালে গণভবনে বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত
এনপেন রিকটার-ভেন্ডসেন সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তাকে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস
বৈঠকের বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ও আঞ্চলিক
বাজার সুবিধাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে তথ্য
প্রযুক্তি ও পরিবেশ বান্ধব পাটসহ বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ নিয়ে আসতে নরওয়ের বিনিয়োগকারীদের
প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী
প্রথম দেশগুলোর মধ্যে নরওয়ে একটি।
নরওয়ে বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন অংশীদার।
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ
পুনর্গঠনে নরওয়ের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম
শুরু করার কথাও তিনি বলেন।