ক্যাটাগরি

ভয় না পেয়ে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের

রোববার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে নিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা নেন তিনি।

এদিন সারা দেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গণ টিকাদান শুরু হয়; সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেন।

শফিকুল ইসলাম বলেন, “সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশ টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। করোনা যুদ্ধে ডিএমপির ২৭ জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। অন্যান্য সাধারণ মানুষের মত আমাদেরও, বিশেষ করে নিচের স্তরের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সংশয় ছিল টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে।”

সেই সংশয় দূর করার জন্যই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনাদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম দিনই টিকা নিলেন জানিয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেন, “টিকা নেওয়ার আগে অনেকে বলেছে, স্যার ১০ থেকে ১৫ মিনিট মাথা ঘুরতে পারে। আসলে এটা মানসিক বিষয়। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে কোনো কিছুই হবে না। করোনার টিকা আর চার পাঁচটা টিকার মতই একটি টিকা।”

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় না পেয়ে দেশের মানুষকে টিকা নেওয়ার আজ্বান জানান শফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রায় ৮ হাজার সদস্য টিকা নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে নিবন্ধন করেছেন। প্রতিদিন ৪০০ জনকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তারসহ অন্যান্য অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনাররাও এদিন রাজারবাগে টিকা নেন।