ক্যাটাগরি

মসৃণ ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান

দূষণ ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে
ত্বক মলিন ও নির্জীব হয়ে পড়ে। নিয়মিত প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের কোমল
ও মসৃণভাব ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদন অবলম্বনে প্রাকৃতিকভাবে মসৃণ ত্বক পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।

পানি পান: প্রতিদিন
কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করা নিশ্চিত করুন। এটা শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং শরীর থেকে
বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে।

লেবুর রস: একটা
ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে মেখে শুকানোরে জন্য দশ
মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর তা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার ব্যবহারে
ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

টমেটো: একটা
টমেটো ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিন। পেস্টটি মুখে মেখে দশ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে
ফেলুন। টমেটো ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

মধু: খাঁটি
মধু মুখে মেখে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। মধু ত্বক
কোমল ও মসৃণ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

টি ট্রি অয়েল:
তুলার বলের সাহায্যে টি ট্রি অয়েল সরাসরি ত্বকে মাখুন। ভালো ফলাফল চাইলে কয়েক ঘণ্টা
পর পর ব্যবহার করতে পারেন। টি ট্রি তেল ব্রণ প্রবণ ত্বকেকে সুস্থ ও মসৃণ করতে ভূমিকা
পালন করে।

অ্যালো ভেরা:
অ্যালো ভেরার পাতায় থাকা জেল সপ্তাহে বেশ কয়েকবার ত্বকে ব্যবহার করা ভালো। নিয়মিত ব্যবহারে
ত্বক কোমল ও মসৃণ হয়ে ওঠে।

শসা: শসার প্যাক
তৈরি করতে দুই টেবিল-চামচ ওটমিল, ব্লেন্ড করা অর্ধেকটা শসার রস ও সামান্য দুধ মিশিয়ে
পেস্ট তৈরি করে নিন। মাস্কটি মুখ ও গলায় মেখে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বিশ মিনিট
পরে মুখ সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁপে: কয়েক
টুকরা পাকা পেঁপে পিষে মিহি করে নিন। এরপর তা মুখে প্যাকের মতো করে মেখে অপেক্ষা করুন।
১৫ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক কোমল ও মসৃণ
হয়।

হলুদ: এক চা
চামচ হলুদ, দুই চা-চামচ চন্দনের গুঁড়া ও পর্যাপ্ত পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
প্যাকটি মুখে মেখে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার
করে নিন।

আরও পড়ুন


উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ভেষজ মাস্ক
 

শীতে অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের যত্ন
 

ত্বকের যত্নে উপকারী রাসায়নিক উপাদান
 

সুন্দর ও মসৃণ কনুই