ক্যাটাগরি

রিজওয়ানের সেঞ্চুরির পর রোমাঞ্চকর শেষের অপেক্ষা

দ্বিতীয় টেস্টে ৩৭০ রানের
লক্ষ্যে ১ উইকেটে ১২৭ রান নিয়ে
চতুর্থ দিন শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মারক্রাম ৫৯ ও রাসি ফন ডার ডাসেন ৪৮ রানে
ব্যাট করছেন। শেষ দিনে
তাদের প্রয়োজন আরও ২৪৩ রান।

এর আগে রোববার রিজওয়ানের দৃঢ়তায় ২৯৮ পর্যন্ত যায় পাকিস্তান। আঙুলে চোট নিয়েও ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে স্বাগতিকদের ইনিংস আরও বড় হতে দেননি জর্জ লিন্ডে। বাঁহাতি এই স্পিনার ৬৪ রানে
নেন ৫ উইকেট।

আগের সেরা ৯৫ ছাড়িয়ে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। তার ২০৪ বলের লড়াকু ইনিংস
গড়া ১৫ চারে।

৬ উইকেটে ১২৯ রান নিয়ে রোববার দিন শুরু করে পাকিস্তান। ষষ্ঠ ওভারেই উইকেট হারায়
তারা। কেশভ মহারাজের বলে এলবিডাব্লিউ হন হাসান আলি।

ইয়াসির শাহকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন রিজওয়ান। গড়েন ৫৩ রানের জুটি। এর মাঝে
১১৩ বলে ফিফটি
তুলে নেন স্বাগতিক কিপার-ব্যাটসম্যান। ২৩ রান করা ইয়াসিরকে কট বিহাইন্ড করে জুটি
ভাঙেন লিন্ডে।

এরপর ইনিংসে নিজেদের সেরা
জুটি পায় পাকিস্তান। রিজওয়ানকে দারুণ
সঙ্গ দেন ১০ নম্বরে নামা নুমান
আলি। কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে রিজওয়ান পা রাখেন ১৮৫ বলে। প্রথম
ফিফটির আশা জাগান
নুমান। তবে তাকে
সেই স্বাদ পেতে
দেননি কাগিসো রাবাদা। ৭৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রান করে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে
ফিরেন নুমান। ভাঙে ৯৭ রানের জুটি।

পরে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বোল্ড করে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেওয়ার সঙ্গে
পাঁচ উইকেট পূর্ণ
করেন লিন্ডে।

চারশর কাছাকাছি লক্ষ্য তাড়ায়
দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ভালো হয়নি। দ্রুতই ভাঙে
উদ্বোধনী জুটি। ১৭ রান করে আফ্রিদির বলে কট বিহাইন্ড হন ডিন এলগার।

এরপর প্রতিরোধ গড়েন মারক্রাম ও ফন ডার ডাসেন। দিনের শেষ সেশনে দলের আর কোনো উইকেট পড়তে
দেননি এই দুইজন। প্রথম
২২ বলে কোনো
রান না করা মারক্রাম পরে রান তুলেছেন দ্রুত। ৭১ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি। পঞ্চাশ থেকে
২ রান দূরে
ফন ডার ডাসেন। তাদের
অবিচ্ছিন্ন জুটি ৯৪ রানের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২৭২

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২০১

পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১০২ ওভারে ২৯৮
(আগের দিন ১২৯/৬) (রিজওয়ান ১১৫*, হাসান
৫, ইয়াসির ২৩, নুমান ৪৫, আফ্রিদি ৪; রাবাদা ১৪-৩-৩৪-২, নরকিয়া ১৭-৭-৫৭-০, মহারাজ ৩৮-৪-১১৮-৩, মুল্ডার ৭-১-১৬-০, লিন্ডে ২৬-৯-৬৪-৫)।

দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৭০) ৪১ ওভারে ১২৭/১ (মারক্রাম ৫৯*, এলগার
১৭, ফন ডার ডাসেন ৪৮*; আফ্রিদি ১০-৪-২২-১, হাসান ৫-০-৩৬-০, নুমান ১২-৪-৩৫-০, ইয়াসির ১১-৩-২১-০, ফাহিম ৩-১-১৩-০)।