তিনি রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেছেন, পদত্যাগপত্র দলের সভাপতি কামাল হোসেনকে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
গণফোরাম ছাড়ার পর দেশে থাকলেও অন্য কোনো দলে
যোগ দেওয়ার কথা এখনও ভাবেননি বলে জানিয়েছেন রেজা কিবরিয়া।
আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ সালের সরকারের অর্থমন্ত্রী
শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আকস্মিকভাবে গণফোরামে
যোগ দেন।
ওই নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে অংশ
নিয়েছিল গণফোরাম; সেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হবিগঞ্জে প্রার্থীও
হন তিনি।
যোগ দেওয়ার পর গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য
করা হয়েছিল রেজা কিবরিয়াকে; নির্বাচনের পর তাকে সাধারণ সম্পাদক করেন কামাল হোসেন।
এনিয়ে গণফোরামে দেখা দেয় বিরোধ, চলে বহিষ্কার-পাল্টা
বহিষ্কার; মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে দল ভাঙার উদ্যোগও নেন।
ঐক্যফ্রন্টে রেজা কিবরিয়া, বিব্রত বিএনপি নেতা
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক হলেন রেজা কিবরিয়া
প্রতিবাদ হবে সংসদের ভেতরে-বাইরে: রেজা কিবরিয়া
মন্টু-সাইয়িদদের বহিষ্কারের পদক্ষেপ রেজা কিবরিয়ার
রেজা কিবরিয়াকে মন্টুদের আইনি নোটিস
রেজা কিবরিয়াকে ‘বহিষ্কার’ করে কাউন্সিলের ঘোষণা গণফোরামের একাংশের
‘ভুল বোঝাবুঝি’ শেষে গণফোরামে এখন ঐক্যবদ্ধ কাউন্সিল: কামাল হোসেন
এই পরিস্থিতিতে কামাল হোসেন দুই পক্ষকে নিয়ে
ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদ্যোগ নেন সম্প্রতি। তার মধ্যেই রেজা কিবরিয়ার পদত্যাগের ঘোষণা
এল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। ইতোমধ্যে আমি আমার পদত্যাগপত্র
দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের কাছে জমা দিয়েছি।”
পদত্যাগের কথা জানিয়ে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
রেজা কিবরিয়া বলেছেন, “আমাকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে
দেওয়ার জন্য আমি ড. কামাল হোসেন ও গণফোরামের নেতৃবৃন্দের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। গত
১৮ মাস ড. কামাল হোসেনের সাথে কাজ করতে পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।”
এখন কী করবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কী
করব, ঠিক করিনি। কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড স্ট্রেইন চলছে। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে
কী করব, ঠিক করবো। এই মুহূর্তে কোনো কিছু চিন্তা করছি না। এখন দেশেই আছি, দেশেই থাকব।”
শাহ এএমএস কিবরিয়া সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায়
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের
বাজারে এক জনসভা থেকে ফেরার সময় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন।
রেজা কিবরিয়া অর্থনীতিবিদ হিসেবে বিদেশি নানা
সংস্থায় কাজ করছেন। বাবার মৃত্যুর পর তার মা আসমা কিবরিয়া যে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন
করতেন, দেশে এসে তাতে সক্রিয় হন তিনি।
রেজা কিবরিয়া বলেন, “আমি বিদেশে বিশ্ব ব্যাংকসহ
আন্তর্জাতিক সংস্থায় বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে বড় বড় পদ-পদবী ছেড়ে দেশে ফিরে এসেছি শুধু দেশের
মানুষের সেবা করার উদ্দেশ্যে। আমার মনে হয়েছে যে, নিজ দেশের জনগণের জন্য কাজ করার সময়
এসেছে।
“গণফোরাম ছেড়ে দিলেও আমার বাবা শাহ এএমএস কিবরিয়ার
মতো আমিও জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র, সামাজিক
ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে আমি তাদের সাথে কাজ করে যাব।”