ক্যাটাগরি

সঙ্গীর মন বিচ্ছিন্ন হওয়ার লক্ষণ

দীর্ঘ প্রণয়ের মাঝে একটা সময় আসে যখন
আবেগের স্ফুলিঙ্গ কিছুটা হলেও স্তিমিত হয়। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন
দৈনন্দিন জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য, কাজের চাপ, পারিবারিক জটিলতা ইত্যাদি।

আর এসবই স্বাভাবিক, তবে একটা নির্দিষ্ট
পর্যায় পর্যন্ত।

চিন্তিত হওয়ার সময় তখনই যখন আপনাদের মাঝে
দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। কোনো সমস্যা খুঁজে পাচ্ছেন না ঠিক, তবে কোথায় যেন একটা খচখচানি
থেকে যায় যে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে।

এমন অনুভূতি যদি আপনার মনে উঁকি দিয়ে
থাকে তবে হতে পারে সঙ্গীর সঙ্গে আপনার মানসিক যোগাযোগটা আগের মতো শক্ত নেই। কিংবা হয়ত
একেবারেই নেই।

সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের
আলোকে জানানো হল এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার উপায়।

আপনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সঙ্গীর মনে নেই: পছন্দের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো
সঙ্গীর মনে রাখাই স্বাভাবিক। আপনার প্রিয় রং, বেড়াতে যাওয়ার জায়গা, বিশেষ দিনগুলো ইত্যাদি
অনেক কিছুই আছে সেই তালিকায়। সম্পর্কে দূরত্ব যতই থাক সঙ্গী ওই বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারেই
মনে রাখে। আর যদি ভুলেও যায় তবে সেই মাশুল দেওয়ার চেষ্টা থাকে। 

যদি ভুলে যেতে শুরু করে এবং তা বুঝতে
পেরেও গুরুত্ব না দেয়, তবে বুঝতে আপনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সঙ্গে আপনার নিজের গুরুত্বও
তার কাছে কমে গেছে।

ভুলের ক্ষমা চায় কিন্তু সংশোধন হয়না: সম্পর্কের মাঝে বাকবিতণ্ডা থাকবেই। মানুষ মাত্রই ভুল হবে,
সে ভুল অনুধাবন করার পর অনুতপ্ত হবে এবং তা সংশোধন করবে। এভাবেই সম্পর্ক টিকে থাকে।
তবে আপনার সঙ্গী ভুল করার পর ক্ষমা চাইলো ঠিকই কিন্তু সেই ভুল শোধরানোর চেষ্টা নেই
এমনটা পরিস্থিতিতে ধরে নেওয়াই যায় আপনার গুরুত্ব কমেছে।

আলাপ আগের মতো জমে ওঠে না: যেকোনো সম্পর্কে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল পরস্পরের মধ্যে
সুস্থ কথোপকথন। সুন্দর সময় কাটানো থেকে দাম্পত্য কলহ পর্যন্ত সবখানেই এর প্রয়োজন অনস্বীকার্য।
সম্পর্কের শুরুতে আপনাদের মাঝে অনেক কথা বলার বিষয় ছিল। কিন্তু লম্বা একটা পথ পাড়ি
দিয়ে আসার পর দুজনেই যদি কথা বলার কোনো বিষয় খুঁজে না পান আর চেষ্টা করার পরও যদি আপনার
সঙ্গী আলাপে অংশ না নেয় তবে বুঝে নিতে হবে তার আগ্রহ নেই। 

একসঙ্গে সময় কাটানো ক্লান্তিকর: প্রণয়ের সম্পর্কের মানুষটার সঙ্গে কাটানো সময়টুকু দুজনের জন্যই
হওয়া উচিত আনন্দের। তবে সম্পর্কে যদি ফাটল ধরে তবে বিচ্ছেদের অনেক আগেই মানসিকভাবে
আপনারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। একসঙ্গে কাটানো সময়টা তখন হবে এমন একটা কাজ যা আপনি করতে
চান না কিন্তু বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে।

আপনার নিজস্ব জীবনে সঙ্গীর আগ্রহ নেই: কথা বলার বিষয় তখনই তৈরি হবে যখন নিজস্ব জীবনের বিভিন্ন
ঘটনা একে অপরকে জানাবে। এতে দুপক্ষই একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানবে এবং নিজের আকাঙ্ক্ষাগুলোর
সঙ্গে এই মানুষটা কতটুকু মানানসই সেটাও জানা যাবে। তবে সঙ্গীর যদি তেমন চেষ্টা না থাকে,
তাহলে বুঝতে হবে তার ইচ্ছাটাই হারিয়ে গেছে সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখার।

আরও পড়ুন

সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারণ
 

সম্পর্কের ইতি টানা যখন জরুরি
 

সম্পর্ক যখন প্রেমের
 

সফল সম্পর্কের জন্য যা জরুরি