সচিবালয় ক্লিনিকে রোববার সকালে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে সচিবালয় ক্লিনিকে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এই ক্লিনিকে যারা টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন, তাদের নিবন্ধনের কাগজ যাচাই করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য দুটি বুথ খোলা হয়েছে।
সচিবালয় ক্লিনিকের প্রধান সহকারী আলী আকবর জানান, সচিবালয় ক্লিনিকে টিকা নিতে যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্য থেকে রোববার ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম দিন যাদের টিকা দেওয়া হবে ইতোমধ্যে তাদের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হয়েছে।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অফিস সহকারী পারভেজ দরিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কোনো কিছুই মনে হচ্ছে না। কোনো সমস্যাও বোধ করছি না।”
টিকা নেওয়ার পর ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “টিকা নিয়ে নানা কথা হচ্ছিল বলে মনে একটু ভয় কাজ করছিল এটা ঠিক। তবে টিকা নেওয়ার পর সেই ভয় আর নেই, এখন মনে হচ্ছে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সচিবালয় ক্লিনিকে টিকা নেওয়ার পর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব মো. শাহাদত খন্দকার জানান, টিকা নেওয়ার পর তার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
“এখনও যেখানে অনেক দেশ টিকা পায়নি, সেখানে আমরা বিনামূল্যে এই টিকা পাচ্ছি। টিকা নিয়ে ভালো লাগছে, এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সক্ষমতার বিষয়।”
কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা সচিবালয় ক্লিনিকের জ্যেষ্ঠ সেবিকা স্বপ্না রাণী বলেন, “এই কার্যক্রমে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে গর্ব বোধ করছি।”
প্রথম দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে এক হাজার ১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে ঢাকায় রয়েছে ৫০টি কেন্দ্র। সোমবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।
ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে দুই হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মীদের দল এসব কেন্দ্রে সরাসরি টিকাদানে নিয়োজিত রয়েছেন।
ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মোট সাত হাজার ৩৪৪টি দল প্রস্তুত করা হয়েছে।
টিকা নিতে আগ্রহী সবাইকেই আগে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন তিন লাখের বেশি মানুষ।