এ নিয়ে গত দুদিনে সারাদেশে ৭৭ হাজার ৬৬৯ জন কোভিড-১৯ টিকা নিলেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
রোববার টিকা নিয়েছিলেন ৩১ হাজার ১৬০ জন।
সোমবার যারা টিকা নিয়েছে, তার মধ্যে ৩৫ হাজার ৮৪৩ জন পুরুষ এবং ১০ হাজার ৬৬৬ জন নারী।
টিকায় আগ্রহ বাড়ছে, বাড়িয়ে দিচ্ছে সাহস
অধিদপ্তরের এমআইএসের (মেডিকেলে ইনফরমেশন সার্ভিসেস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন যারা টিকা নিয়েছে, তাদের মধ্যে ৯২ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। এর আগের দিন ২১ জনের সামান্য উপসর্গ হয়েছিল।
প্রথম দিন টিকা নিলেন ৩১ হাজারের বেশি মানুষ
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৫ লাখ ১২ হাজার ৫ জন টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সারাদেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় টিকাদান, চলে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
এদিন ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৭ হাজার ১৭৮ জন টিকা নিয়েছে।
ঢাকার ৪৭টি হাসপাতালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮৯৮ জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) টিকা নিয়েছেন।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ১২ হাজার ৮২২ জন টিকা নিয়েছে ঢাকা বিভাগে। এছাড়া ময়মনসিংহে ২৩৯৪ জন, চট্টগ্রামে ১০ হাজার ৪৮০ জন, রাজশাহীতে ৫৬৪২ জন, রংপুরে ৫৫০৩ জন, খুলনায় ৪১৭০ জন, বরিশালে ১৫৪৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩৯৫৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারী থেকে মুক্তির প্রত্যাশা নিয়ে সরকারি উদ্যোগে এই গণ টিকাদানে ব্যবহৃত হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।
রোববার থেকে শুরু হওয়া এই গণ টিকাদান কর্মসূচি সফলে ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মীর দল কাজ করছে।
ধারাবাহিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মোট ৭ হাজার ৩৪৪টি দল প্রস্তুত রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি দল দৈনিক ১৫০ জনকে টিকাদান করতে পারবে। সে হিসেবে দৈনিক তিন লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।