সোমবার রাজ্য সভায় মোদী বলেন, ‘‘এমএসপি (মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস) ছিল, এমএসপি আছে এবং ভবিষ্যতেও এমএসপি থাকবে। গরিবদের জন্য স্বল্পমূল্যে রেশনও থাকবে এবং ফসলের আড়ত আধুনিকায়ন করা হবে।
‘‘কৃষি বিষয়ে আমাদের সবধরনের নীতি ও পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য থাকবে ক্ষুদ্র কৃষকদের উন্নয়ন। এখন কৃষি ঋণ মওকুফের যে সুবিধা বর্তমান আছে তাতে ক্ষুদ্র কৃষকদের কোনো লাভ হচ্ছে না।”
কৃষি সংস্কারে মোদী সরকারের করা নতুন তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দুই মাস ধরে ভারতের কৃষকরা সড়কে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বেশ কয়েক দফা বৈঠক হলেও সংকট সমাধানের কোনো রাস্তা বের হয়নি।
প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে খোলা আকাশের নিচে দিনরাত অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন তিন কৃষি আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
ভারতী কৃষকদের আশঙ্কা, নতুন কৃষি আইনের ফলে সরকার আর ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে বাধ্য থাকবে না। বাজারের উপর সরকারের নজরদারিও কমে যাবে। ফলে বাজারের নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বড় বড় ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানির হাতে চলে যাবে এবং কৃষকদের জীবন তাদের দয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
অন্যদিকে, সরকার বলছে, কৃষি আধুনিকায়নের লক্ষ্যে তারা নতুন তিন কৃষি আইন প্রণনয় করছে।