এই প্রথম ‘প্লেয়ার অব দা মান্থ’ বাছাই করল আইসিসি। জানুয়ারি মাসের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে বেছে নেওয়া হয়েছে সেরা দুই জনকে। শনিবার ঘোষণা করা হয়
তাদের নাম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ এক সিরিজ পার করেন পান্ত। সিডনি টেস্টে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের সম্ভাবনা জাগান ভারতের কিপার-ব্যাটসম্যান।
শেষ পর্যন্ত ওই ম্যাচে জয় না মিললেও ড্র করে ভারত। পরে ব্রিজবেনে ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেওয়ার পাশাপাশি জেতান সিরিজও।
কেন এই কিপার-ব্যাটসম্যানকে মাসের সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, জানান পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও আইসিসি ভোটিং অ্যাকাডেমির সদস্য রমিজ রাজা।
“দুইবার পান্ত দুই রকম
চ্যালেঞ্জে চাপে ছিল। একটিতে ছিল ম্যাচ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ, অন্যটিতে জেতানোর। দুই ইনিংসেই সে তার বহুমুখী স্কিল দেখিয়েছে।”
প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জিতে ভীষণ খুশি পান্ত।
“খেলোয়াড় হিসেবে দলের জয়ে অবদান রাখাই চূড়ান্ত পুরস্কার। তবে এই ধরনের পুরস্কার আমার মতো তরুণদের প্রতিবার আরও ভালো করতে অনুপ্রাণিত করবে। পুরস্কারটি অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জেতা ভারত দলের সব সদস্যকে উৎসর্গ করছি। একই সঙ্গে আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৭টি করে উইকেট নেন শাবনিম। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসার। তার কাছে এই পুরস্কার কঠোর পরিশ্রমের ফসল।
“সতীর্থদের সহায়তা ছাড়া এটা সম্ভব হতো না…বিশ্ব জুড়ে যে ভক্ত ও বন্ধুরা ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ।”
আইসিসি ভোটিং একাডেমি ও বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে দুই বিভাগ থেকে নির্বাচন করা হয়েছে জানুয়ারি মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। আইসিসি ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা।
সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।