মহামারীকালে
দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে তারা কী করে ঢুকতে পারল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
চট্টগ্রাম
টেস্টের চতুর্থ দিন শনিবার জুয়াড়ি সন্দেহে তাদের আটক করে পুলিশে দিয়েছিল জাতীয়
নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআই।
তারা
হলেন- সুনীল কুমার (৩৮), চেতন শর্মা (৩৩) ও সানী ম্যাগু (৩২)।
আটকের
পর তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবির
সিকিউরিটি সুপারভাইজার আরেফিন হোসেন ইমরান।
সেই
মামলায় সোমবার চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে হাজির
করা হয় তাদের। তাদের প্রত্যেককে পাঠানো হয়েছে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে।
তারা
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে জুয়া খেলা এবং ই-ট্রানজেকশনের বিষয়টি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার
করেছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
মামলার
তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে জুয়া খেলার বিষয়টি তারা
জানিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে অনুসন্ধান করছি।”
তাদের
আটকের পর পাহাড়তলী থানার ওসি হাসান ইমাম জানিয়েছিলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই
তিনজনের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল গোয়েন্দারা।
মামলার
এজাহারে বলা হয়, ওই তিনজন এর আগেও তারা একই উপায়ে ক্রিকেট নিয়ে জুয়া খেলেছে।
বিসিবির
সিকিউরিটি সুপারভাইজার ইমরান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেদিন বেলা ১টা
৫০ মিনিটে স্টেডিয়ামের ছাদে (রুফ টপে) তাদের তিনজনকে দেখতে পাই। পরে পুলিশ
সদস্যরাসহ সেখানে গেলে তারা নিজেদের ভারতীয় নাগরিক বলে পরিচয় দেয়। একটি ওয়েবসাইট
ব্যবহার করে জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ ও ই-ট্রানজেকশন করার কথা জানায় তারা।”
তিন
ভারতীয় নাগরিক কীভাবে স্টেডিয়ামে ঢুকল- জানতে চাইলে আরেফিন বলেন, “এবার মাঠে
দর্শকদের জন্য কোনো টিকেট ছিল না। স্পন্সরদের জন্য অল্প কিছু টিকেট বরাদ্দ ছিল।
তবে এ তিনজন কীভাবে টিকেট পেয়েছে, তা আমাদের জানা নেই।”
তদন্ত
কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, “স্পন্সরের জন্য বরাদ্দ টিকেট তারা বাইরে থেকে কিনে
নেয় বলে জানিয়েছে।”
চট্টগ্রাম
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিন ভারতীয় নাগরিককে সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।