দ্রুত গতিতে উচ্চ সংবেদনশীল উপায়ে মাদক শনাক্ত করবে এই প্রযুক্তি। ঘামের এই প্যাচ কিছুক্ষণ ত্বকের সঙ্গে লাগানো থাকবে এবং পরীক্ষার জন্য আলোতে রাখা হবে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস।
গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে এসিএস অ্যাপ্লায়েড ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড ইন্টারফেইসেস জার্নালে। গবেষণায় ঘামের ওপর নজর দিয়েছেন গবেষকরা, যা আক্রমণাত্মক নয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো বিষয় নেই।
গবেষকদের দাবি, বাড়তি কোনো প্রক্রিয়া ছাড়াই এই প্রযুক্তিতে অবৈধ মাদক শনাক্ত করতে মাত্র এক মিনিট লাগে।
কোরিয়া ইনস্টিটিউট অফ ম্যাটিরিয়ালস সায়েন্স (কেআইএমএস) এর গবেষক হো স্যাং জুং বলেছেন, “আক্রমণাত্মক এবং নৈতিক সমস্যা এড়িয়ে মাদক এবং নিষিদ্ধ উপাদান শনাক্তকরণে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে তুলবে এই প্রযুক্তি।”
ঘামে এই উপাদানগুলো খুবই কম থাকে। তাই আরও ভালো ফলাফল পেতে আরও সংবেদনশীল সেন্সর প্রযুক্তি বানাতে হবে বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা।
অপটিক্যাল সেন্সর বানাতে নমনীয় এবং পরিধেয় রেশমের গুটি প্রোটিন উপাদানে নজর দিয়েছেন গবেষক দলটি।
১৬০ ন্যানোমিটারের পাতলা ফিল্ম বানাতে রেশমি গুটি পোকার প্রাকৃতিক প্রোটিন ফাইব্রোইন সমাধান ব্যবহার করেছেন গবেষকরা।
এই ফিল্মটি ২৫০ ন্যানোমিটারের সিলভার ন্যানোওয়্যার দিয়ে কোটিং করে মেডিক্যাল প্যাচের সঙ্গে বসানো হয়েছে, যা ত্বকে লাগানো যায়।
প্যাচটি ঘাম শোষণ করলে মাদক উপাদান পরিধেয় সেন্সর ভেদ করে সিলভার ন্যানোওয়্যারে পৌঁছে। প্যাচে লেজার ফেলে সেন্সর না সরিয়েই তাৎক্ষণিকভাবে মাদক শনাক্ত করা যেতে পারে।