সোমবার বিশ্ববিদ্যলয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে
‘সাধারণ শিক্ষার্থীর’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৪-১৫
শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান রফিক বলেন, “বিভিন্ন বিভাগ পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে। বাইরে থাকায়
শিক্ষার্থীরা আর্থিক অসুবিধাসহ নানা সমস্যায় পড়ছে।
“বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবাসিক
ভবনগুলোতে থাকতে পারলে পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের কেন হলে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না?”
মানববন্ধনে সংস্কৃত বিভাগের ২০১৫-১৫ শিক্ষাবর্ষের
শিক্ষার্থী নয়ন মোদক বলেন, “প্রশাসন ইচ্ছা করলেই সীমিত পরিসরে আবাসিক হলগুলো খুলে
দিতে পারে। আমরা চাই দ্রুত হলগুলো খুলে দেওয়া হোক।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহেদুল ইসলামের সঞ্চালনায়
মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান
ভুঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “হল খোলার ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা
চলছে। করোনায় এখনও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, তাই আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মুখে ঠেলে
দিতে পারি না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সিদ্ধান্তের উপরও আমাদের চোখ রাখতে
হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি আবাসিক হলের মধ্যে
চারটি ছাত্রীদের। এসব হলে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ২০৪টি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট
শিক্ষার্থী সংখ্যা ২২ হাজার ৯০২ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের ১৮
মার্চ থেকে অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ রয়েছে।