বিচারপতি
মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি
উদ্দিন শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার তাকে জামিন দেয়।
জামিনের
এই সময়ের মধ্যেই তাকে নিম্ন আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
আদালতে
জিন্নাহর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ও মুন্সী মনিরুজ্জামান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম
আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী
মুন্সী মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুদকে উনি যে সম্পদ বিবরণী
দাখিল করেছেন, তার বাইরে উনার অবৈধ কোনো সম্পদ নেই। কিন্তু দাখিল করা সেই সম্পদ বিবরণী পাশ কাটিয়ে দুদক অসৎ উদ্দেশ্যে মামলা করেছে।
“আমাদের
এ বক্তব্য শুনে আদালত উনাকে তিন সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন। জামিনের এই মেয়াদের মধ্যে
নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন চাইতে পারবেন।”
বগুড়া-২ আসনের সংসদ
সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর বিরুদ্ধে গত ২ ফেব্রুয়ারি
এ মামলা করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের
উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ।
মামলায় এই
এমপির বিরুদ্ধে
১ কোটি ৫৯ লাখ ৭৮
হাজার ১১৩ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’ এবং ৮৯ লাখ ২৭
হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের ‘তথ্য গোপনের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর
আগে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর শরিফুল
ইসলাম জিন্নাহকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস দিয়েছিল দুদক।
তার
দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করে ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের
প্রমাণ পেয়ে’ মামলা করা হয় বলে দুদক
জানায়।