ক্যাটাগরি

দক্ষিণ আফ্রিকায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া স্থগিত

সোমবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।

কোভিড-১৯ মহামারীতে বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যে ২৩ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোটি কোটি মানুষের স্বাভাবিক জীবন থমকে গেছে।

‘ইউনিভার্সিটি অব উইটওয়াটাসরান্ড এবং ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকা ধরন যেটি বিশেষ করে তরুণদের দেহে মৃদু বা মাঝারি সংক্রমণ ঘটায় সেটির বিরুদ্ধে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা খুব সমান্যই কাজ করে।

অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়ালের প্রধান পর্যবেক্ষক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ‘‘করোনাভাইরাস রূপ পরিবর্তন করে টিকা নেওয়া মানুষজনের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটনোর চেষ্টা করবে। এটিই একটি ভাইরাসের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। এই মহামারীর বেলাও এমনটা হওয়ার কথা এবং করোনাভাইরাস যে রূপ পরিবর্তন করে টিকার বিরুদ্ধে টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করতে চাইছে, আমাদের গবেষণা সেটা নিশ্চিত করেছে।”

এ কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকাদান কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে রোববার জানান দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী উইলি এমখিজে। তিনি বলেন, ‘‘কোন পথে অগ্রসর হলে সবথেকে ভাল হবে তা জানতে সরকার বিজ্ঞানীদের পরামর্শের অপেক্ষায় আছে।”

অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য আশার আলো হয়ে এসেছিল। এই টিকা অপেক্ষাকৃত সস্তা। এছাড়া, ফাইজারের টিকার তুলনায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পরিবহন এবং সংরক্ষণ সহজ। ফলে আফ্রিকার গরিব দেশগুলো কোভিড-১৯ ‍মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই টিকার অপেক্ষায় ছিল। নতুন এ গবেষণা তথ্য তাদের জন্য নিশ্চিতভাবেই দারুণ হতাশার।

যদি করোনাভাইরাসের বর্তমান এবং নতুন ধরনের বিরুদ্ধে টিকা আশানুরূপ কার্যকর না হয়, তবে বিশ্বকে হয়ত এ মহামারীর ‍বিরুদ্ধে ধারণার চেয়েও লম্বা সময় ধরে অধিক খরচ সাপেক্ষ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।