ক্যাটাগরি

দলকে সুসংগঠিত করে অচিরেই মাঠে নামব: মির্জা আব্বাস

এতদিনেও সফল আন্দোলন গড়ে তুলতে না
পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে সোমবার ঢাকায় এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, “আমার কারাবন্দি নেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে
নিচ্ছি যে, আমরা এতই দুর্ভাগা, এতই ব্যর্থ যে আমরা আপনাদেরকে কোনো প্রকার ব্যবস্থা
করতে পারি নাই।

“আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, দলকে সুন্দরভাবে
সুগঠিত করে ইনশাল্লাহ অচিরেই আমরা মাঠে নামব। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত
করব এবং তারেক রহমানকে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনব।”

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর
চন্দ্র রায় বলেন, “আমরা যদি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, তাহলে যুদ্ধে শামিল হতে হবে,
সেই যুদ্ধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াই হবে।

“সেই কারণে বলছি, সিদ্ধান্ত নিতে হবে,
আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে কোনোভাবে রাজপথ ছাড়ব না। আমাদের কথায় নয়, কাজে প্রমাণ করতে
হবে। আমাদের রাজপথ দখলে নিতে হবে।”

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে গয়েশ্বর
বলেন, “আজকে নির্বাচন কমিশন সরকারকে খুশি করার জন্য যা ইচ্ছা তাই করছে।

“আপনারা যখন রাস্তায় বেরিয়েছেন করোনাকে
উপেক্ষা করে, আসুন এই জীবনকে শান্তিময় করার জন্য, এই জীবনকে অর্থবহ করার জন্য, এদেশে
গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করার জন্য আমরা যুদ্ধে শামিল হই। রাজপথ দখল করে শেখ হাসিনাকে
বিদায় দিতে হবে।”

গুলশানে খালেদা জিয়া ‘গৃহবন্দি’ আছেন
দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, “করোনার কারণে খালেদা জিয়াকে বাড়িতে রেখেছে। হসপিটালে রাখলে
সেই চিকিৎসা না দিতে পারলে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে।”

আল-জাজিরার প্রতিবেদন ‘মিথ্যা প্রমাণ করুন’

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন ‘আল-জাজিরা’য় বাংলাদেশ
নিয়ে প্রতিবেদনে তোলা অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ‘ফাঁকা বুলি’ না দিয়ে তা মিথ্যা
প্রমাণ করে দেখাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, “আমরা দেশ স্বাধীন করেছি একথা
শোনার জন্য নয় যে বাংলাদেশ মাফিয়া দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে; এই কথা শোনার জন্য নয় যে
বাংলাদেশ একটা মাফিয়া রাষ্ট্র। 

“আমরা বলতে চাই এই সরকারকে। আপনারা দয়া
করে প্রমাণ করুন আল-জাজিরায় যা কিছু আসছে সব মিথ্যা। আমরা আপনাদের সমর্থন দেব। প্রমাণ
করেন, শুধু মুখে ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছে…”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে
ইঙ্গিত করে বিএনপি নেতা বলেন, “একজন মন্ত্রী আছেন, কী কয়, না কয়, তার কোনো হিসাব নাই।

“কয়, ‘আমরা মামলা করব’। এই প্রসঙ্গ আমার
এক বন্ধু খুব খারাপ ভাষায় বলেন, যে কাজটা করতে পারবেন না, সেটা নিয়ে আর টানাটানি কইরেন
না। মামলা করলে মামলা করে দেখান।”

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আমরা কখনও আল-জাজিরা
দেখতে চাই না। আমাদের দেখতে হচ্ছে কেন? তথ্য-প্রমাণ দিয়ে আপনাদেরকে (সরকার) প্রমাণ
করতে হবে আল-জাজিরা সঠিক নয়।

“আল-জাজিরায় যে সমস্ত প্রকাশ করা হয়েছে,
তা বাংলাদেশের দুর্নীতির এক হাজার ভাগের এক ভাগ।”

খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্বের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে
সারাদেশে জেলা-মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা
মহানগর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব
উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের নেতা কাজী আবুল বাশার এবং উত্তরের
নেতা আবদুল আলীম নকির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম,
রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম
আজাদ, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, হাবিবুর রশীদ হাবিব, এজিএম
শামসুল হক,  সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহ্উদ্দিন টুকু, এসএম জাহাঙ্গীর, রফিকুল
আলম মজনু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ফখরুল ইসলাম, হেলেন জেরিন খান, হাসান জাফির
তুহিন, মুস্তাফিজুল করীম মজুমদার, আব্দুর রহিম, ফজলুর রহমান খোকন।