সোমবার এই রায়ে সেই ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান।
এ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে আসামিকে।
বিচারক তার রায়ে বলেছেন, ধর্ষকের ওয়ারিশ হিসেবে সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাবে শিশুটি।
যদি ধর্ষকের কোনো সম্পত্তি না থাকে, ওই শিশুর যাবতীয় ব্যয়ভার রাষ্ট্রকে বহন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি শফিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পীরগাছার অন্নদানগর ইউনিয়নের সাতদরগাহ হরিচরণ গ্রামের মজিবরের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই ইউনিয়নে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন শফিকুল।
২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবরে ওই ঘটনায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ২০০৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি আদালতে শফিকুল এবং তার বাবা, চাচা ও ফুফুকে আসামি করে মামলা করেন।
২০০৮ সালের ৪ অগাস্ট একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ওই কিশোরী। পরে আদালতের নির্দেশে শিশু এবং ধর্ষকের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
দীর্ঘ বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার শফিকুলকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল আদালত।
পাবলিক প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান, এ মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। আর আসামির বাবা মামলার বিচার চলাকালে মারা যান।
আসামিপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী জহুরুল ইসলাম।